ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য নেতাকর্মীদের যোগ্য, দক্ষ ও নির্লোভ হতে হবে। লোভ-লালসা পরিহার করে শুধুমাত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতকরণ ছাড়া ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয় করা যাবে না। তিনি বলেন, যতদিন মুসলমানেরা রাসূল সা.-এর আদর্শের ওপর অটল ছিল, যতদিন ইসলামের ওপর মজবুত ছিল ততক্ষণ মুসলমানরা ছিল বাদশাহর জাতি। তখন তারা বিশ্ব নেতৃত্ব দিয়েছিল। আর যখন মুসলামনরা রাসূলের সা. আদর্শ থেকে দূরে সরে লেলিন, কালমার্কস, মাওসেতুংয়ের আদর্শ গ্রহণ করেছে তখনই মুসলমানের ওপর তাগুতি ও খোদাদ্রোহী শক্তি জেঁকে বসেছে। বিশ্বব্যাপী অশান্তির মূল কারণ একমাত্র এটাই। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, অরাজকতা ও সংঘাত থেকে মুক্তি পেতে হলে রাসূলের আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে। রাসূলের সা. আদর্শই একমাত্র মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি।
সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর ও থানা শাখার যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন ও মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মু. মোশাররফ হোসেন, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, আলহাজ হারুন অর রশিদ, আলহাজ ঈসমাইল হোসেন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, হাজী আনোয়ার হোসেন, হাজী হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
ছাত্র ও শ্রমিক সমাবেশ
আমিরুল মুজাহিদীন হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, সমাজ ও মানবতা যখন পাপাচার ও গোনাহের অন্ধকারে ডুবে যায় তখনই যুগে যুগে নবী-রাসূলদের পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষদের হেদায়াত ও আলোর পথ দেখিয়েছেন। শেষ যুগে মহানবী বিশ্বনবী আকায়ে নামদার হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)-এর আর কোনো নবী আগমন করবেন না। আজকে মহানবী (সা.)-এর অবর্তমানে তাঁর পবিত্র দায়িত্ব ও উত্তরসূরির ভূমিকা রাখছেন হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম। সোনার ও বিশুদ্ধচারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ের কেরামের সান্নিধ্য লাভ করে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রকৃত সন্ধান এবং রাসূলের জীবনাদর্শের অনুসরণ করতে হবে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ জাম্মুরি মাঠে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরের উদ্বোধনী বয়ানে আমীরুর মুজাহিদীন হযরত মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও মানুষের স্বভাববান্ধব জীবনব্যবস্থা। ইসলামে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ বিশ্বমানবতার চারিত্রিক, অবকাঠামো ও প্রাযুক্তিক উন্নয়নের দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইসলাম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবেও ন্যায়-ইনসাফ ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
জাতীয় তাফসীর পরিষদ
জাতীয় তাফসীর পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, অধ্যক্ষ মুফতী হাফেজ মাওলানা বাকীবিলাহ, মুফতি শরীফউলাহ সামদানী ও হাফেজ মাওলানা নাযির আহমদ শিবলী, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মাওলানা হাফেজ মুহিউদ্দীন জিলানী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইদানিং কতিপয় ইহুদি-নাসারাদের দালাল জনৈক আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফসহ অন্যান্যরা আলাহর ওলীদের প্রতি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বিবৃতিতে তারা আলাহর ওলী হযরত শাহ জালাল ও হযরত শাহপরান রহ., খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী রহ.সহ পীর মাখায়েখদের সম্পর্কে অত্যন্ত জঘন্য ধরণের গালিগালাজ উচ্চারণ করছে যা মুখে নেয়াও অযোগ্য। ভ্রান্ত আকিদাপন্থিসহ লা মাযহাবী সম্প্রদায় ইদানিং কওমী মাদরাসা, তাবলিগ এবং সর্বোপরি পীর মাখায়েখদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছে যা চরম আপত্তিজনক। এধরণের কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন