লালদীঘি ময়দানে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বলীখেলার ১১০তম আসরকে ঘিরে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা। মেলাকে ঘিরে মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র লালদীঘি ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় এখন গ্রামীণ আবহ। এ মেলা শেষ হবে শুক্রবার। বলীখেলার উদ্বোধন করবেন সিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এবারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানার্স আপ ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি পাবে। এছাড়া প্রথম রাউন্ডের বিজয়ী ৪০ জন বলীর প্রত্যেকে এক হাজার টাকা ও ট্রফি পাবে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও লালদীঘি মাঠের মাঝখানে তৈরি করা হবে প্রায় ২০ ফুট বাই ২০ ফুট চতুর্ভুজ আকৃতির বলীখেলার মঞ্চ। মাটি থেকে প্রায় ৫ ফুট উপরে বালি দিয়ে তৈরি করা হবে এ মঞ্চ। মঞ্চের চারিদিকে রশি দিয়ে ঘিরে দেয়া হবে। বলীখেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক ফুটবলার ও সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য নগরীর বদরপাতি এলাকার আবদুল জব্বার সওদাগর লালদীঘি মাঠে সর্বপ্রথম বলীখেলার সূচনা করেছিলেন। তারপর থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উপমহাদেশে বাঙালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক ও অহংকারে পরিণত হয়েছে।
আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা এখনও ধরে আছে তার কীর্তিময় ইতিহাস। তাই বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় লোকজ উৎসব হিসেবে এটাকে চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া বলীখেলাকে ঘিরে তখন থেকেই চলে আসছে তিনদিনের বৈশাখী মেলা যা এখনও অব্যাহত আছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মেলায় দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আগত দোকানিরা লালদীঘির আশপাশ এলাকা ছাড়াও সিনেমা প্যালেসের মোড়, আন্দরকিল্লার মোড় এবং কোতোয়ালীর মোড় থেকে কেসিদে রোডসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় শত শত পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
লালদীঘির আশপাশ এলাকায় রাস্তার দু’ধারে অস্থায়ীভাবে বসেছে অসংখ্য স্টল। সারাবছর মহানগরসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনে এই মেলার জন্য। তারা বছরের গৃহস্থালি সামগ্রী এই মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন