নরেন্দ্র মোদী এবং শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে বরাবরই সরব লেখিকা এবং অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। তার
সমালোচনা যে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নজরেও এসেছে, তা টের পাওয়া গিয়েছিল কয়েকদিন আগেই, যখন অক্ষয়কুমারের মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ‘অরাজনৈতিক’ সেই সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গ তুলে টুইঙ্কলের রিয়েল লাইফ পার্টনার অক্ষয়কে মোদী বলেছিলেন, ‘আপনার নিশ্চয় বাড়ির পরিবেশ নিশ্চয়ই শান্তিপূর্ণ, কারণ টুইঙ্কল তো ওঁর সব রাগ টুইটারে আমার উপরেই ঝাড়েন।’
সাক্ষাৎকার সামনে আসার পর অবশ্য চুপ করে থাকেননি টুইঙ্কলও, টুইটারে যিনি পরিচিত ‘মিসেস ফানিবোনস’ নামে। তার প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আমি পুরো বিষয়টি সদর্থক দৃষ্টিতেই দেখছি। প্রধানমন্ত্রী শুধু যে আমার অস্তিত্ব নিয়েই সজাগ তা নয়, উনি আমার লেখাও পড়েন।’
এর পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে তার বিরুদ্ধে সরব হন নেটিজেনদের একাংশ। তিনি এবং অক্ষয়কুমার, দু’জনেই নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। কেউ কেউ তারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাদের প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও টুইঙ্কল জানিয়ে দিলেন কোন পার্টি তার পছন্দ। টুইটারে তিনি লিখলেন, ‘প্রতিক্রিয়া জানানো মানেই কাউকে সমর্থন করা নয়। এই মুহ‚র্তে একটি পার্টিতেই আমি অংশ নিতে পারি, যেখানে থাকবে প্রচুর ভডকা আর পরের দিনের হ্যাং ওভার।’
স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর চড়া কর বসানোর জন্য মোদী সরকারকে একসময় কড়া সমালোচনায় বিঁধেছিলেন টুইঙ্কল। কয়েক দিন আগে মথুরা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনীর সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেই একটি ছবিতে চড়া রোদে ট্রাক্টর চালাতে দেখা গিয়েছিল হেমাকে। সেই ট্রাক্টরেই আবার তার পিছনে ফ্যান চলতে দেখা গিয়েছিল। এই গিমিকের জন্য বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। অভিনয় ছাড়ার পর এখন পুরোদস্তুর লেখালেখি নিয়েই থাকেন টুইঙ্কল। ‘মিসেস ফানিবোনস’ লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। মহিলা লেখিকা হিসেবে ওই বছর সব থেকে বেশি বিক্রি হয়েছিল তার বই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন