ঢাকা মহানগরের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে রয়েছে বাসাবো, গোরান, নন্দিপাড়া, কদমতলা, সবুজবাগ, রাজারবাগ ইত্যাদি এলাকা। এসব এলাকায় স্বল্প ভাড়ার যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই। রিকশাগুলোকে মহানগরের অনেক রাস্তায় চলতে দেওয়া হয় না। সিএনজিচালিত অটোরিকশা সহজে পাওয়াও যায় না- ভাড়াও বেশি। ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি)কে ঐসব এলাকার অধিবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, বিআরটিসি ৬০০ বাস আমদানি করতে যাচ্ছে। তাই বিআরটিসি বাসাবো-তাঁতীবাজারের মধ্যে একটি বাসরুট চালু করতে পারে- যা কি না বাসাবো, শাহজাহানপুর ফ্লাইওভার, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান ও বংশাল হয়ে তাঁতীবাজার পর্যন্ত চলাচল করবে। এতে পুরান ঢাকার পাইকারি বাজারগুলোর সঙ্গে মহানগরের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে স্বল্প ব্যয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে বাস স্টপেজ থাকলেও যাত্রীর অভাব হবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আশরাফ হোসেন,
১২০, বাসাবো ঢাকা-১২১৪
রাস্তা কারো একার নয়
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর) মিরপুর থানার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সেনপাড়ার চৌরঙ্গী মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় ইসলামী সমাজকল্যাণ মসজিদ, ব্যাপটিস্ট গির্জা, মিশনারি স্কুল ও মাদ্রাসাসহ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাতায়াতের জন্য এলাকার চারটি বাড়ির মালিক (পরবর্তী সময়ে তিনজন) ১০ ফুট রাস্তা রাখেন। রাস্তাটি অদূর ভবিষ্যতে সমাজকল্যাণ রাস্তার সরঙ্গ একটি সংযোগ সড়ক হিসেবে গণ্য হবার কথা ছিল। সিটি কর্পোরেশনের সেই রাস্তাটি জনগণের চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সরকারি রাস্তা হিসেবে নথিভুক্তও হয়। তিন বাড়িওয়ালার জমির মধ্য দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ১০ ফুট করে হলেও মাঝ বরাবর পশ্চিম দক্ষিণের প্লটে ১০ ফুটের রাস্তা সাত ফুট করে ফেলে টিনশেডের ইমারাত তোলা হয়েছে। বর্তমানে ইমারত ভেঙে নতুন করে বৃহৎ অট্টালিকা তোলা হবে। কিন্তু ঐ রাস্তার ওপরই বিল্ডিং তোলা হবে বলে জানা যায়। সরকারি নথিপত্র ও ম্যাপে ১০ ফুট রাস্তাই আছে। সাত ফুট রাস্তায় যানবাহন নিয়ে ঢুকতে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হবে। এ ব্যাপারে এলাবাসী সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সরকারি অধিভুক্ত রাস্তার ওপর ইমারত তৈরি করবেন বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসীর এতে কোনো অসুবিধা হোক বা নতুন কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হোক এতে তার কোনো দায় নেই বলে জানান।
এই রাস্তা বিশেষ কারো যাতায়াত করবার অধিকার যেমন আছে তেমনি রাস্তার যথাযথ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায় রয়েছে। এখন সিটি কর্পোরেশন যদি বোবার ভূমিকায় অভিনয় করে কিংবা রাস্তার ওপর ইমারত তৈরিতে রাজউক কোনো বাধা না দেন, তবে দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের মতো আমজনতাকেই। কোন জিনিসের অভাবে মানুষ এমন কাজ করে এবং অন্যরা তার সমর্থন করে তা তো আমাদের বুঝিয়ে বলতে হবে না। পরিশেষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, মিরপুরের সেনপাড়ায় এমন নাগরিক সুবিধাবিরোধী কর্মকা- যাতে না হয় সে জন্য ত্বরিত ব্যবস্থা নিন।
তসলিম উদ্দীন,
৩, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০, ঢাকা।
উদ্যানের পরিবেশ
শহর একটু স্বস্তিতে বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করা নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গার অভাব, খোলা বাতাসে চলাচলের অভাব, অবসর যাপনের জন্য বিনোদন কেন্দ্রের অপর্যাপ্ততা, স্বস্তি পাওয়াটাকে করেছে আরো দুরূহ। রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে যদিও অনেক পরিকল্পিত উদ্যান রয়েছে তবে তাতে অবস্থান করাটা অনেকটা বিপজ্জনক। দিনের বেলায় উদ্যানগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং রাতের বেলায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বলতে গেলে উদ্যানে চলাফেরা করা অনিরাপদ। শুধু উদ্যান নয়, এই অবস্থা অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুস্থ-সমৃদ্ধ অবসর যাপনের পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তানজিনা আফরিন,
সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন