চলতি বছর মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের দিক থেকে এগিয়ে আছে মাদ্রাসা বোর্ড। পাশাপাশি গতবারের চেয়ে এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে।
মাদ্রাসা বোর্ডে এবার পাস করেছে ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত বছর ছিল ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ জন। গত বছর পেয়েছিল তিন হাজার ৩৭১ জন।
সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি এই তিন ধারার শিক্ষার মধ্যেও এগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। এ বছর গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৩, যা এবারের গড় পাসের চেয়েও দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ ছাত্র।
এসএসসিতে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৬ মার্চ।
মন্তব্য করুন