যশোর শিক্ষাবোর্ডে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাসের হার কমে ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছর এই পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে। সেই সঙ্গে গত বছরের তুলনায় কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর পরিমাণও। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ পরীক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৮৭৮ জন। গতবারের দেশসেরা অবস্থান থেকে ছিটকে পড়েছে পঞ্চমে।
বুধবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এইচএসসি পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যশোর বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শমীর কুমার কুন্ড।
শমীর কুমার জানান, এ বছর যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২২৮টি কেন্দ্রে অংশ নেয় ৯৮ হাজার ২৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশে নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৮২ হাজার ৫০১ জন। পাসের হার ৮৩.৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ পরীক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেয় ১৭ হাজার ৭৪৭ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৪৭ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এই বিভাগ থেকে জিপিএ পাস পেয়েছে ৮ হাজার ৯৬২ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নেয় ৬৭ হাজার ৬৭২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫৯ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ৬২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৫২ জন।
ব্যবসায় বিভাগ থেকে অংশ নেয় ১২ হাজার ৮৫০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১১ হাজার ২৯৫ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮৯ জন।
ফলাফল পর্যালোচনা করে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শমীর কুমার কুন্ড বলেন, ‘গত বছর পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল আর এই বছর পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর কারণ হলো গতবার মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল, এবার আইসিটি বিষয়টি বাদে বাকি সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। করোনার মধ্যে যশোর বোর্ডে যে রেজাল্টটা হয়েছে সেটা সন্তোষজনক।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন