রমজান আসলেই মুনাফালোভীরা পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রথম রমজানে এক লাফে বেগুনের কেজি দ্বিগুণ হয়েছে। দু’দিন আগে বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০টাকা। গতকাল তা ৮০টাকা হয়েছে। অথচ সবজি চাষিরা মাঠ থেকে বেগুন বিক্রি করছে ২৫/৩০টাকা দরে। একইভাবে উচ্ছে ৪০টাকার স্থলে ৬০টাকা, লাউ একটা মাঝারি ২০টাকার স্থলে ৩৫/৪০টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগীর মূল্য ছিল ৪শ’টাকা। একলাফে তা বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫শ’৪০টাকা কেজি দরে। সাধারণ ভোক্তা শহরের টালিখোলার আনান্দ কুমার বললেন, এভাবে মূল্য বাড়ছে রাতারাতি অথচ প্রশাসনের কোন তদারকি চোখে পড়ছে না।
ভোক্তাদের প্রশ্ন ‘শুনে থাকি বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়। সেটি কী কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকে?’। গতকাল কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের যশোর জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুরগী ও বেগুনসহ কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এককভাবে বাজার মনিটরিং করছি। প্রয়োজনে র্যাবকে অন্তর্ভুক্ত করে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। যেসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ ইস্যু করা হবে।
যশোরসহ এ অঞ্চল থেকে সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অভ্যন্তরীণ চালান হয় বরাবরই। এ অঞ্চলে সারাদেশের মোট চাহিদার ৬৫ভাগ সবজি উৎপাদন হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি যশোর অঞ্চলে এবারের রমজানে জোরদার বাজার মনিটরিং হয়নি। তবে মিটিং সিটিং হয়েছে দফায় দফায়। সূত্র জানায়, শুধু রমজানে নয়, বাজার নিয়ন্ত্রণে আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই। এতে ভোক্তা সাধারণ নানাভাবে ঠকছেন প্রতিনিয়ত। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালের এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেটস রেগুলেশন এ্যাক্ট ও ১৯৮৫ সালের সংশোধিত বাজার নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৬(১) ও ১৬(২) ধারামতে কৃষিজাত ও ভোগ্যপণ্যের ক্রয়মূল্য, বিক্রয়মূল্য ও মজুদ পরিস্থিতির তদারকির ক্ষমতা রয়েছে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকর্তাদের। কিন্তু বাস্তবে কোথাও আইনটির প্রয়োগ হতে দেখা যায় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন