পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এক বিবৃতিতে তিনি পবিত্র মাহে রমজানের আগেই ভোগ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ারও আহŸান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতি বছর রমজান আসে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসের সে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তাকে ভÐুল করতে তৎপর থাকে একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্র, বর্তমানেও তৎপর রয়েছে তারা। বিশেষ করে ডলার সঙ্কট এবং নতুন এলসি ইস্যু না করার সুযোগ নিয়েছে চক্রটি। একদিকে ছোট আমদানিকারকরা নতুন এলসি ইস্যু নিয়ে যখন জটিলতায় পড়ছেন সে-সময় ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেট চক্রটি নতুন এলসি ইস্যু করে তাদের চাহিদা মাফিক পণ্য আমদানি করে জাহাজজাত করছে। তাদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক।
আবার এসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা কিছু ব্যাংকের মালিক কিংবা শেয়ার হোল্ডার। ফলত ব্যাংকিং কার্যক্রমের সম্পূর্ণ সুফল ভোগ করছে এ অসাধু চক্রটি। এভাবে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৌশলে সরকার এবং ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে তারা। আমরা বিশ্বস্ত সূত্র জানতে পেরেছি, ইতোমধ্যে ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেট চক্রটি আগেভাগে এলসি খুলেই রমজানের চাহিদার সমপরিমাণ পণ্য দেশে আমদানি করেছে। তাদের সে পণ্য দেশের সমুদ্রসীমায় বিভিন্ন জাহাজে মজুদ করা আছে।
তাদের কৌশলের অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে বাজারে একেকটি পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে তারা। বর্তমানে সে অপচেষ্টার অংশ হিসেবে চিনির দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এভাবে তারা বাজারে একেকটি পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করবে এবং সঙ্কটের পরপরই সে পণ্যসমূহ জাহাজ থেকে খালাস করে বাজারে বিক্রয় করে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করবে। ফলে এদের কারসাজির কাছে পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়েছে ছোট আমদানিকারক এবং সাধারণ ভোক্তাগণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন