কাতারে মার্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাউজানের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত প্রবাসী উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের নুরা গাজীর বাড়ির মৃত শামসু মিয়ার পুত্র মো. রাশেদুল ইসলাম (৩৮)। স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত (০৮ মে বুধবার) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় কাজ শেষ করে নিজ কোম্পানীর বাস যোগে বাসায় ফেরার পথে সড়কে দুর্ঘটনায় মারা যায় সে। ওই দুর্ঘটনায় তার সাথে আরোও দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাশেদুলের মৃত্যুর খবরে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত রাশেদুলের মা জানান, আমার ছেলের অনেক স্বপ্ন ছিল, দেশে কিছু করতে না পেরে বিদেশে গিয়ে পিতা-মাতা ভাই-বোন ও ছেলে-মেয়ের মুখে হাসি ফুটাবে। পরিবারের লোকজন কিছুটা স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করবেন। কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরন হযনি আমার ছেলের, এক বছর হযনি তার বাবার মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে গত বুধবার কাতারে আমার ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এদিকে রাশেদুল নিহত হওয়ার সংবাদে তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। নিহত রাশেদুলের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারমধ্যে ২য় শ্রেণীতে পড়ুয়া ৮ বছর বয়সী মো: রাসেল কিছুটা বুঝতে চেষ্ঠা করছেন তার আদরের বাবা আর নেই। তখন তার চোখে অকালে পিতা হারার কান্ন্ার রোল। আর ছোট মেয়ে ফাতেমা যার বয়স মাত্র ১১ বছর,সে বুঝতে পারছেনা পিতা হারা মানেটা কি, সে তার দাদির সাথে মাটিতে পড়ে খেলা করছেন। তার মা ও এলাকার মানুষ বিশ্বাসই করতে পারছেনা তাদের স্বপ্ন দেখানোর ছেলে আর নেই। এসময় তার মা ও এলাকার মানুষরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শুক্রবার রাশেদুলের বাড়িতে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়। এবিষয়ে এলাকার ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার মৃত শামসু মিয়ার ছেলে আমার স্কুলের বন্ধু রাশেদুল গত বুধবার কাতারে একটি কোম্পানি থেকে কাজ শেষ করে আসার পথে বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি তাকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলে নিহত হন। তবে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা সহযোগীতা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন