সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে ৫ লাখ টাকা আর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে সহায়তার পরিমাণ হবে ৩ লাখ টাকা।
এমন বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিধিমালার জারি করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের দাবিগুলি একটি ১২ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা নিষ্পত্তি করা হবে, যা সরকারের অনুমোদনের পরে পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিবেচনায় পরিবর্তন করা যায়।
বিধিমালা অনুযায়ী, চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকলে আর্থিক সহায়তা ৩ লাখ টাকা, তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ১ লাখ টাকা।
এছাড়া বিধিমালায় বলা আছে, আর্থিক সহায়তার জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল থাকবে এবং এই তহবিলে মোটরযান মালিক প্রতিটি মোটরযানে বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণে বার্ষিক বা এককালীন চাঁদা প্রদান করবেন। আর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেবার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে।
আইন অনুসারে, প্রতিটি চালকের লাইসেন্সের জন্য ১২ পয়েন্ট থাকবে এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে এক বা দুটি পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে। যদি একজন চালক সব পয়েন্ট হারায় তবে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
এছাড়া ২০ বছরের নিচে কেউ যানবাহনের কন্ডাক্টর বা সুপারভাইজারের লাইসেন্স পাবেন না। আর এই লাইসেন্স পেতে হলে কন্ডাক্টরকে অবশ্যই পঞ্চম শ্রেণি এবং সুপারভাইজারকে অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আইনটি কার্যকর হওয়ার চার বছরেরও বেশি সময় পরে কর্তৃপক্ষ গত ২৭ ডিসেম্বর নিয়মগুলির একটি গেজেট জারি করা হয়। তবে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কয়েকটি ধারা নিয়মের অভাবে কার্যকর করা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন