মীরসরাই উপজেলার ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নে কয়েক গ্রাম জুড়ে এখন হামলা আর পাল্টা হামলার আতংক। রবিবার ( ১২ মে ) পর্যন্ত দুর্গাপুর বাজারে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টা হামলায় অন্তঃত ১৫ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আহত হয়েছে। সর্বশেষ পর্যায়ে চমেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে যুবলীগ নেতা আসাদ, ছাত্রলীগ নেতার মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেছে।
ঘটনার শুরু গত শুক্রবার ( ১০ মে) রাত ১১টায় স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আসাদুজ্বামান এর উপর হামলা দিয়েই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা রাত ১১টায় ছত্তরভূঞার হাট এলাকায় যুবলীগনেতা আসাদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ফেলে গেলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানায় তার পরিবার। এই বিষয়ে আসাদের বড়ভাই নজরুল ইসলাম জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা ও দায়ের করে। এই ঘটনার জের ধরে ১১ মে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে দুর্গাপুর ভরদ্বাজ চৌধুরীহাটে চলতে থাকে পাল্টা উত্তেজনা। সন্ধ্যার পর এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুর রহমানের ঘরের সামনে থাকা মোটর বাইকে আগুন ধরিয়ে দিলে মোটরসাইকেলটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ, রানা, হারুন , বাবুল সওদাগর সহ ৬ জনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা দুর্গাপুর বাজারের জাহেদুল ইসলামের দুর্গাপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, মুসলিম উদ্দিন এর দোকানে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মাসুক এবং রানার বাড়িতেও হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এক পর্যায়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হক ও এএসআই সুজয় কুমার সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এবং ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল মান্নান নামে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে। রবিবার ( ১২ মে) এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উক্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মীরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল ইকবাল ও সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসাইন বলেন বিষয়টি উক্ত ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ কোন স্বার্থসংস্লিষ্ট দ্বন্ধ নিয়ে এর দায় দায়িত্ব ছাত্রলীগ বা যুবলীগ কেউ বহন করবে না।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন যুবলীগ কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আসাদ এলাকায় কোন অপরাধ করে থাকলে তার জন্য আইন শৃংখলা বিভাগ আছে, আছে দলীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু একটি যুবককে এভাবে কুপিয়ে মৃত্যুশয্যায় নিয়ে যাবার এখতিয়ার তো কারো নেই। তাই এখন পুরো বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর আইনগত এখতিয়ার এর বিষয়। আমরা এখন ন্যায়সঙ্গত কারনে ভাবে কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন