ছাত্রলীগের সদ্যগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ওপর পদপ্রাপ্তদের হামলার ঘটনা ‘অত্যন্ত সামান্য’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, এ নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশের কিছু নেই।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
আজ দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহাবুব-উল আলম হানিফ।
একই সময় মঙ্গলবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনেই সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ নেতারা। দাবি পূরণ না হলে একযোগে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত ও পদ নিয়ে অসন্তুষ্ট নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে নারীকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন, যে সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে আছেন। এমন একটি সংগঠন যার হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আছে। তাদের মধ্যে যোগ্য নেতারা সকলে পদ-পদবীর প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ পদবী দেওয়া সম্ভব হয় না। সেই সুযোগও হয় না।
তিনি বলেন, কারণ পদের সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কমিটি হওয়ার পরে সকলে যখন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না তখন কিছু ব্যক্তির মধ্যে অষন্তোষ সৃষ্টি হয়। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রায় সব জায়গায় এমন একটা পরিস্থিতি দেখা যায়।
হানিফ বলেন, যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়ত ক্ষোভটা কোনো কোনো সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়। এছাড়াও ছাত্রলীগের অনেকে ভেবেছিলেন বড় পদ পাবেন, সেটা হয়ত পাননি। তারা হয়ত অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছেন। এই ধরনের দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে।
মধুর ক্যান্টিনের মারামারির ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত সামান্য ঘটনা। এটা নিয়ে আমার মনে হয় যে, খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই। আমরা আশা করি, সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, তারা এটা ঠিক করতে পারবেন এবং তারা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সংগঠনের কাজ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন