সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদী দখল করে বিভিন্ন কোম্পানি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বালু দিয়ে ভরাট করে রাখে। এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় বিভিন্ন কোম্পানির অবৈধভাবে নদী দখলের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সোমবার থেকে মেঘনা নদী দখল মুক্ত শুরু হয়। সোমবার মেঘনা ঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলে। এসময় মেঘনা নদীর তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চর বেতাকি খাঁন ব্রার্দাসের ৬‘শ ফিট লম্বা সীমানা প্রাচীর, এবং দুটি মাটি কাটা ড্রেজার ভাংচুর করা হয়। সোনারগাঁয়ের মেঘনা, হোসেনদি, বলাকিরচর এলাকায় নদী ভরাট করে বালু রাখা অংশ ভেকু দিয়ে খনন করে নদী দখল মুক্ত করা হয়। এছাড়া মেঘনা লঞ্চঘাট এলাকায় ৩০০ফুট লম্বা এবং ২০০ ফি প্রশস্ত মেঘনা নদী বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধ ভাবে বালু, পাথর, টিনের ব্যবসা করে আসছিল একটি চক্র। বিআআইডব্লিউটিএ এসব মালামাল জব্দ করে নিলামে তুলে ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা বিক্রি করে।
গতকাল মঙ্গলবার বিআইডব্লিটিএ এর উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার এলাকা মেঘনা নদীর পশ্চিম তীর দখল করে গড়ে তোলা আল মোস্তফা গ্রুপের ৪ তলা বহুতল গুড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নদী দখল করে ডকইয়ার্ড সম্প্রসারণ করায় ইউরো মেরিন শিপ বিল্ডার্স নামের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন সংস্থাটির ভ্রাম্যমান আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন