শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোদাগাড়ীতে সরকারি কাজে বাঁধা, নারী কর্মকর্তাকে নির্যাতনের অভিযোগ

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ৩:১৪ পিএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মুসফিকুর রহমান শাহিনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিরাতুন নেসাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও নারী কর্মকর্তাকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মুসফিকুর রহমান শাহিনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২১ মে) গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে নির্যাতনের শিকার নারী ভূমি কর্মকর্তা মিরাতুন নেসা। মিরতুন নেসা রাজশাহী মহানগরীর হড়গ্রাম নতুনপাড়া গ্রামের বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত আব্দুল খালেকের মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২১ মে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার চব্বিশনগর হাজিপাড়া গ্রাামের মৃত. ফজলুর রহমানের ছেলে মুসফিকুর রহমান শাহিন (৫৭) একটি ব্যাগে সম্পত্তির দলিল পত্র নিয়ে কাকনহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এসে টেবিলের সামনে বসে। এই সময় নারী ভূমি কর্মকর্তা মিরাতুন নেসা অন্য একজন ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন করের চেক কাটছিলো। এই সময় মুসফিকুর রহমান শাহিন মিরাতুন নেসাকে জোর পূর্বক একটি দলিল দেখাইয়া দ্রুত খাজনার হিসাবটি জানাতে বলেন। তখন মিরাতুন নেসা তাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলে। কিন্তু মুসফিকুর রহমান শাহিন অপেক্ষা না করে ইতেতইজত হয়ে নারী কর্মকর্তা মিরাতুন নেসাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং জোর পূর্বক হাত হতে কলম কাড়িয়া নেয়। এই সময় তাকে বাঁধা নিষেধ করলে পুনরায় তাকে চড় থাপ্পড় মারা শুরু করে। এই সময় মিরাতুন নেসা চিৎকার করিলে মুসফিকুর রহমান টেবিলের কাঁচের উপর ফাইল দ্বারা কাঁচ ভাঙ্গিয়া ফেলে। অফিসের লোকজন জড় হতে থাকলে দ্রুত অভিযুক্ত মসুফিকুর রহমান অফিস হতে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পুনরায় তাকে পরবর্তিতে দেখিয়া নেওয়ার হুমকি প্রদাান করে।

অভিযুক্ত মুসফিকুর রহমান শাহিন সম্পর্কে এলাকাবাসী জানান, সে নিজেকে কোর্টের এ্যাডভোকেট হিসেবে পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করে। সে বিভিন্ন দালালি ও জালিয়াতি কাজের সাথে জড়িত। অনেক মানুষকে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলে টাকা উপার্জন করে।

সরকারি কাজে বাঁধা ও নারী কর্মকর্তাকে নির্যাতনের বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে মুসফিকুর রহমান শাহিনের সাথে মোবাইল ফোনে ৪ বার কলে দিলেও রিসিভ করেনি। পঞ্চমবার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম এজাহার পাওয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন