সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ১২ হেক্টর আয়তনের ১০টি পরিত্যক্ত পুকুর পুনঃখননের মাধ্যমে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। খননকৃত এসব পুকুরে মাছ চাষ করে স্থানীয় হাজারো মৎস্যচাষী নিজেদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর এসব পুকুর পুনঃখনন করেছে।
খননকৃত পুকুরগুলো হচ্ছে বাঙ্গালা ইউনিয়নের কাকনদাস পুকুর, মোহনপুর ইউনিয়নের ছয় আটিয়া পুকুর,দূর্গানগর ইউনিয়নের কালিকাদহ পুকুর, উধুনিয়া ইউনিয়নের কোমল মরিচ পুকুর, বগুড়া পুকুর, গজাইল বড় চত্রা পুকুর, পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের ফলিয়া বিল পুকুর, রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের ভট্রমাঝিরা হাট পুকুর, মোহনপুর ইউনিয়নের বদ্বনগাছা পুকুর, বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের শৈলাগাড়ি বিল। এই পুকুরগুলো কিছুদিন আগেও ছিল পরিত্যক্ত। স্থানীয়রা এসব পুকুর ব্যবহার করতে পারতো না। পুনঃখনন করায় পুকুরগুলোতে এখন শত শত স্থানীয়রা মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হবে। অন্যদিকে তারা পুকুরের পানিতে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবে।
উপজেলার কাকনদাস পুকুরের সুফল ভোগী মো. আবু হানিফ জানান, আমাদের এই পুকুরটি পরিত্যক্ত ছিল। পানি থাকতো না। গ্রামের মানুষ গোসল করতে দূর দূরান্তে ছুটতো। পুনঃখনন হওয়ায় পুকুরটির গভীরতা বেড়েছে। আমরা মাছ চাষ করতে পারবো। গ্রামের শত শত মানুষ পুকুরে গোসল করতে পারবে। যেটা কিছুদিন আগেও চিন্তাও করতে পারিনি। একইভাবে উপজেলার অন্য পুকুরগুলো পুনঃখনন হওয়ায় স্থানীয়রা সমান সুবিধা পাবে।
গত সোমবার উল্লাপাড়া উপজেলার ১০ পুকুর পুনঃখনন পরিদর্শন করেন জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আলিমুজ্জামান চৌধুরি ও জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. মাহবুবুল হকসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টরা। তারা উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের কাকনদাস পুকুর পুনঃখনন পরিদর্শ করে সেখানে মাছের পোনা অবমুক্ত ও পুকুরপাড়ে গাছ লাগিয়ে পুকুরটি উদ্বোধন করে সুফল ভোগীদের দায়িত্বে তুলে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন