চতুর্থ দিনের মতো ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে আজও কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। ঈদযাত্রার ৩ জুনের টিকিট কিনতে কেউ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে, কেউ ভোররাত থেকে, আর কেউ সকাল থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন স্টেশনের বাইরে চলে গেছে। অন্যান্য যে স্থানগুলোতে রেলের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে, সেসব স্থানেও ভিড় বেড়েছে আজ।
শনিবার দেওয়া হচ্ছে ৩ জুনের টিকিট। আরও একদিন বিক্রি হবে ঈদের অগ্রিম টিকিট। আগামীকাল বিক্রি হবে ৪ জুনের টিকিট। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে। চলবে ২ জুন পর্যন্ত।
কমলাপুরে গিয়ে দেখা গেছে, চতুর্থ দিনের টিকিট নিতে রেলস্টেশনে ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই গতকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন কাঙ্ক্ষিত টিকিটের আশায়।
আজ কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ১২টি ট্রেনের ২৬ হাজারের কিছু বেশি টিকিট দেওয়া হবে। ২৬ হাজার ৭শ টিকিটের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অনলাইনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী পদ্মা এক্সপ্রেস, রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে।
কমলাপুরে কথা হয় এক টিকিট প্রত্যাশীর সঙ্গে। লালমনি এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে শুক্রবার মধ্যরাতে এসে লাইনে দাঁড়ান আলফাজ নামে এই ব্যক্তি। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বলেন, টিকিট পাইনি। অনেকক্ষণ ধরেই তো অপেক্ষা করছি। শেষ পর্যন্ত টিকিট পাবো কি না, তাও জানি না।
টিকিট বিক্রি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোরে আসা টিকিট ক্রেতাদের কেউ কেউ পত্রিকা বিছিয়ে মেঝেতেই ঝিমুচ্ছেন। কেউ আবার সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে লাইনের পাশেই মেঝেতে বসে যাচ্ছেন। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে থেকে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন গিয়ে ঠেকেছে স্টেশনের বাইরে।
এদিকে কমলাপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও কালোবাজারি ঠেকাতে রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার, আর্মড পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন