প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। অনেকেই বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটেছেন। কিন্তু ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ঘরে ফেরা মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই বাড়তি দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মানুষ। যাত্রীচাপ সামলাতে গতকাল থেকে রেলে যুক্ত হয়েছে তিনটি বিশেষ ট্রেন। এর পরেও বাড়তি যাত্রীচাপের কারণে বহু মানুষ ট্রেনের ছাদে চড়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, ৩৭টি রুটের মধ্যে দু-একটি বাদে সব ট্রেনই বিলম্বে ছাড়ছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়েছে।
কমলাপুর স্টেশনের বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে দেরি হওয়া ট্রেনের যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন। অনেকে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কমলাপুর স্টেশনে উপস্থিত হন। ভোর থেকে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় কমলাপুর স্টেশনে মুখরিত হয়ে ওঠে। কিন্তু ট্রেনে দেরিতে আসায় ও দেরিতে ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে চাওয়া যাত্রীরা।
কমলাপুর রেল স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আজ অধিকাংশ ট্রেন কমলাপুর ছাড়তে বিলম্ব হবে। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীচাপ বেশি থাকায় যাত্রীদের ওঠানামায় বাড়তি সময় লাগছে। আর এ কারণে স্টেশনে বাড়তি সময় দাঁড়াতে হচ্ছে। ফলে কয়েক মিনিট করে অপেক্ষার তালিকা একত্রিত হয়ে কয়েক ঘণ্টায় দাঁড়াচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে শিডিউল বিপর্যয়ে পৌঁছেছে রেলপথের ঈদযাত্রা।
এদিকে ট্রেনের ভেতর জায়গা না পেয়ে অনেকেই ছাদে উঠেছেন। গতকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বাড়ি ফেরা নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের। অনেকেই ট্রেনের ছাদে বৃষ্টিতে ভিজে ও গাছপালার ধাক্কায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন