মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঈশ্বরদীতে ৩ মানব পাচারকারী গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের আয়েশা উদ্ধার

ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৯, ১২:১৮ এএম

গত বুধবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাস টার্মিনাল থেকে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার এবং আয়েশা নামের সদ্য এসএসসি পাস এক যুবতিকে উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ভারত-বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জয়িতা মান্না ওরফে পিউ ওরফে খাদিজা (৩৫), সানন্দা বিশ্বাস (২৭) ও বিশ্বজিৎ (৩২) টাংগাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী আখতারুজামানের সদ্য এসএসসি পাসকৃত মেয়ে আয়েশা (১৭)কে পাচারের উদ্যেশে ঈশ্বরদী হয়ে ভারত নিয়ে যাচ্ছে মর্মে টাংগাইলের গোপালপুর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খোসরু ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহা উদ্দিন ফারুকী বিপিএম, পিপিএমকে অবহিত করেন এবং দ্রুত ব্যাবস্হা গ্রহণের আহবান জানান।

এ সংবাদ জানার সংগে সংগে ওসি বাহাউদ্দীন ফারুকী সংগীয় ফোর্স নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। ঈশ্বরদীর সমস্ত এলাকা খোঁজা-খুজির এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাস টার্মিনালে হানাদিয়ে উল্লিখিত ৩ জনকে গ্রেফতার এবং তাদের কবল থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত পাচারকারী চক্রের হোতা জয়ীতা ভারতের কোলকাতার বোসপুকুর প‚র্ব পাড়ায় বসবাস করে। তার স্বামীর নাম সুমন্ত মান্না। বাবার নাম পরেশ চন্দ্র দাস। সানন্দার পিতার নাম মহানন্দ বিশ্বাস। সে কোলকাতার এইচআইজিএল ১/১বিরাটি হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা। এবং বিশ্বজিৎ ঈশ্বরদী স্কুল পাড়ার মৃত সুনিলের ছেলে। ঈশ্বরদী থানায় সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ননা দিয়ে উদ্ধারকৃত আয়েশা বলেন, প্রতিবেশী কবিরাজ আবদাস ছাত্তারের বাড়িতে সম্প্রতি জয়িতার সাথে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের স‚ত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। জয়িতা এক পর্যায়ে আয়েশাকে কোলকাতায় নায়িকা এবং মডেল বানানো এবং মোটা অংকের টাকা কামানোর ব্যাবস্থা করে দেয়ার লোভ দেখায়। আয়েশা জয়ীতার টোপ গিলেফেলে অতিগোপনে তারা ভারতের উদ্দেশ্যে গত ২৮মে›১৯ টাংগাইল থেকে রওয়ানা দেয়। ঈশ্বরদী এসে বিশ্বজিতের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে।

গতকাল তারা দিনের বেলা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে উল্লিখিত সময়ে ভারত পাড়ি জমানোর জন্য বাস টার্মিনালে আসে। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধ সাধে। এদিকে গতকাল রাতেই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ভিকটিম ও আসামিদের গোপালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় প্রথমে জিডি এবং পরে মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন