আল নূর কালচারাল সেন্টার
কাতারে আল নূর কালচারাল সেন্টার গণসংযোগ বিভাগ আয়োজিত সদস্য পরিচিতি সভায় বক্তারা বলেছেন, কমিউনিটির বৃহত্তর অংশ গণমানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুষ্ঠান সর্বস্ব তৎপরতা ছেড়ে কল্যাণকর ও গঠনমূলক কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করা সময়ের দাবি। গত ১৬ মে কাতারের দোহায় ঢাকা রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক এম এ বাকের। প্রধান অতিথি ছিলেন আল নূর কালচারাল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক নাসিরুদ্দিন। রিজওয়ান বিশ্বাসের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকাশনা ও গবেষণা বিভাগীয় পরিচালক অধ্যাপক একেএম আমিনুল হক, অর্থসচিব সালেহ নুরুন্নবী, নির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলামসহ গণসংযোগ বিভাগের সদস্যবৃন্দ। সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দের উপস্থিতিতে মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, বর্তমানে কাতার, বাংলাদেশ ও নিউইয়র্কে আল নূরের শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম চলছে। অদূর ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বিস্তৃত হবে ইনশাআল্লাহ। আল নূরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে তিনি সমাজের খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে গণসংযাগ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। স্বাগতে বক্তব্যে নাসিরুদ্দিন অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ শ্রম দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি এমএ বাকের বলেন, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সমাজিক সংগঠন আল নূর কালচারাল সেন্টারের প্রতি প্রবাসী সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আস্থা জ্ঞাপন করেছেন। দলমত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশিদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন আল নূরের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
৭০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ
ইরান বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৪র্থ স্থান অর্জন করে আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত বিশ্বখ্যাত হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা ৩০৬ উত্তর দনিয়া যাত্রাবাড়ী ঢাকার অন্ধ হাফেজ তানভির হোসাইন। সে তার আগেও ৭৩টি দেশের মধ্যে সৌদি আরবে মসজিদে হারামে প্রথম হয়েছিল। উল্লেখ্য অত্র মাদরাসার ৩০ জন হাফেজ হাফেজা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০, ৮০টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনে সামনে যেন অত্র মাদরাসার ছাত্ররা আরও ভাল করতে পারে সেই জন্য সবাই দোয়া করবেন। যার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ ও সৌদি সরকার এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এওয়ার্ড তুলে দেন প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী ও তার বিশ্বজয়ী ছাত্রদের হাতে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
আল্লাহ এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তির ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। অথচ কারো বিরুদ্ধেই অদ্যাবধি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে এ রকম কটাক্ষকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি সেলিম উসমান সাহ্বে যতটুকুও বা লঘু শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন, ততটুকুও শিক্ষামন্ত্রী মেনে নিতে পারলেন না। বরং উল্টো ওই অপরাধী প্রধান শিক্ষককে স্বপদে বহাল করে এদেশের ৯২% মুসলমানের বিপক্ষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। সংগত কারণে শ্যামল কান্তি ভক্তের সাথে সাথে শিক্ষামন্ত্রীকেও মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে। নতুবা ইসলামী জনতা ফুঁসে উঠতে পারে। গত ১৩ মে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, শিক্ষামন্ত্রী এই কুলাঙ্গার শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্বপদে বহাল করে প্রকারান্তরে দলমত নির্বিশেষে এদেশের ষোল কুটি মুসলমানের বিপক্ষেই অবস্থান নিলেন এবং তাদের আবেগ-অনুভূতিকে অবজ্ঞা করলেন। এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এদেশে সুকৌশলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে। যা কারো কাছেই কাম্য নয়। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যেখানে হিন্দু ধর্ম অন্য ধর্মকে কটাক্ষ করার কোনো বিধান নেই সেখানে একজন হিন্দু শিক্ষক এ জাতীয় ধৃষ্টতা দেখান কি করে?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন