ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব ঘটনার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত অবস্থান’ নেওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পাশাপাশি সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হরমুজ প্রণালীর দক্ষিণে ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর হামলা হয়। এসব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু এর সঙ্গে তারা কোনোভাবে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে ইরান।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই জাহাজ চলাচল ও তেল সরবরাহের প্রধান পথে ঘটা এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপসাগরীয় অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত শুরু যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট আলটেয়ার ও জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারেজাসে ঘটা বিস্ফোরণে দুটি জাহাজাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তেহরানে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা হ্রাস করার চেষ্টা করছেন।
“ইরানের সরকার তেহরান সফরকারী জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করে না। তিনি সেখানে থাকাকালেই দুটি ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে তার প্রচেষ্টার জবাব দেওয়া হল। ওই জাহাজগুলোর মধ্যে একটি আবার জাপানি জাহাজ,” ক্রাউন প্রিন্স সালমানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি মালিকানাধীন আশার্ক আল আওসাত সংবাদপত্র।
“এ অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না সৌদি আরব, কিন্তু নিজের জনগণ, সার্বভৌমত্ব ও মৌলিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে যে কোনো হামলা মোকাবিলায় দ্বিধা করবে না,” বলেছেন তিনি।
তেহরান ও ওয়াশিংটন উভয়েই যুদ্ধ চায় না বলে জানিয়েছে। কিন্তু তাদের এ আশ্বাসে সৌদি আরব ও ইরান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে না এমন নিশ্চয়তা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন