তুরস্কের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনা নিয়ে আমেরিকার হুমকি-আল্টিমেটাম কোনো কাজে আসেনি। মার্কিন হুমকি-ধামকি সত্তে¡ও আগামী মাসেই ওই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুরস্কে পৌঁছাতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। তুর্কি টিভি চ্যানেল এনটিভিতে প্রচারিত খবরে একথা জানানো হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, আমি আশা করছি আগামী মাসের প্রথমার্ধ থেকেই রাশিয়ান এস৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলো তুরস্কে পৌঁছাতে শুরু করবে। এরদোগান তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে যোগদান শেষে ফেরার পথে তাকে বহনকারী বিমানে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এস৪০০ইস্যু নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। তিনি এসময় এস৪০০ তুরস্কে পৌঁছানোর সময় আগের চেয়ে বেশি নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করেন। তাজিকিস্তানে সম্মেলনটির এক ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরদোগান জানান, তিনি চলতি মাসে অনুষ্ঠেয় ’জি-২০’ সম্মেলনে এটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, কেউ পিছিয়ে পড়লে ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাই কোনও ঝামেলা সামনে এলে আমরা তাৎক্ষণিক টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে তা মিটিয়ে ফেলি। খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে। তুরস্ক এস-৪০০ কেনার চুক্তি করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধিতা করে আসছে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসন হুমকি দিয়ে আসছে, এস-৪০০ কিনলে মার্কিন এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান নির্মাণের যৌথ প্রকল্প থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, তুরস্কের কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানি মার্কিন জঙ্গিবিমান এফ-৩৫ নির্মাণের যৌথ প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে। তুর্কি বৈমানিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছিল। তবে এস-৪০০ কেনা নিয়ে তুরস্ক মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করায় ইতোমধ্যেই তুর্কি বৈমানিকদের এফ-৩৫ পরিচালনার প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন