শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

রাত ১টায় ঢাবি টুরিস্ট সোসাইটির কক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রী উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৯, ১০:২৭ এএম | আপডেট : ১০:৩২ এএম, ২৬ জুন, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ট্যুরিস্ট সোসাইটির টিএসসির কক্ষ থেকে রাত ১ টার সময় ১ ছাত্র ও ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে প্রক্টরিয়াল টিম। আটককৃত ছাত্রীর দাবি রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় হলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে সেখানে অবস্থান নেন তিনি।

উদ্ধারকৃত ছাত্রের নাম ইমরান হোসাইন শাহরিয়ার। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র বলে জানা যায়। আর ছাত্রীর নাম নওশীন সাইয়ারা। তিনি আধুনিক ভাষা ইনিস্টিউটের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী।

জানা যায়, রাত ১১টায় টিএসসির কর্মচারী কিরন থেকে চাবি নিয়ে তারা টুরিস্ট সোসাইটির অফিসে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা ও লাইট বন্ধ করে দেয়। রাত ১টার দিকে সাংবাদিকরা দরজায় টোকা দিলে তারা ১ মিনিট পর দরজা খুলে।

এরপর ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হন। আটককৃত ছাত্রী প্রথমে তার নিজের নাম না বলে একই হলের তৃতীয় বর্ষের অন্য আরেক মেয়ের নাম বলে ভূয়া পরিচয় দেয়। ছেলেটিও নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করে।

তারা জানায় রাত ১১টা বেজে যাওয়ায় মেয়েটি হলে ডুকতে ব্যর্থ হয়ে এখানে আসে। তারা দুজন দু চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিলো কিছু করে নাই।

প্রক্টরিয়াল বডি উদ্ধারকৃতদের নিজ নিজ আবাসিক হলে পাঠিয়ে দেয়।

আটককৃত ছাত্রী নওসীন সাইয়ারার নাম ঢাবিতে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়াদের তালিকায় আছে ।

দীর্ঘ রাতপর্যন্ত কক্ষের ভেতর কি করছিলেন এমনপ প্রশ্নের জবাবে ইমরান হোসেন শাহরির বলেন, তারা কক্ষের ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন। হল থাকতে কেন কক্ষের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নওশীন সায়েরা তার বাড়ি গাজিপুর থেকে বিশ্বিবিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় রাত সাড়ে এগারোটার দিকে। ১০টার পরে আর হলে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় সেখানে ছিলেন। যদিও নওশীন সায়ারা গ্রামের বাসা গাজীপুর থেকে এসেছে কি না সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে নারী শিক্ষার্থী ও পুরুষ শিক্ষার্থী অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি আসিফ উল আলম বলেন, ঘটনাটি অল্প শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যুরিস্ট সোসাইটির চাবি কাদের কাছে থাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্সিকিউটিভ বডির কাছে থাকে। মোট কতটি চাবি রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০-২৫টি।

ঘটনা অবহিত করলে টিএসসির পরিচালক মহিউজ্জামান বলেন, সংগঠনগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহার করতে পারে। আমি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। শিক্ষার্থী যদি এইরকম কাজ করে তাহলে তো কারও পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী ইনকিলাবকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ২জন শিক্ষার্থীকে সেখানে পাই। পরে তাদের হল কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে হলে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তারা এত রাতে কেন সেখানে ছিলো বিষয়টি নিয়ে পরে বিস্তারিত তাদের সাথে কথা বলা হবে এবং কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাত ১০ টার মধ্যে কোন কাজ না থাকলে টিএসসির সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও এত রাতে কেন টুরিস্ট সোসাইটির অফিস খোলা ছিলো প্রশ্ন প্রক্টরের।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Bangla Newspapers ২৬ জুন, ২০১৯, ১১:১৮ এএম says : 0
আমার মনে হয় সংস্কৃতি বিষয়ক সকল কর্মকান্ড সন্ধ্যার আগেই বন্ধ করে দাওয়া উচিত | তাতে করে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা কম ঘটবে |
Total Reply(0)
রাসেল ২৬ জুন, ২০১৯, ৬:২৫ পিএম says : 0
আমি যদি ব্যাপারটাকে পজিটিবলি নিই,তাহলে ওনাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো ওয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।।। হয়তো ওনারা তাই করছিলেন (চেয়ারে বসে ঘুমানো) যা তারা বলেছেন।।।
Total Reply(0)
Shanto ২৭ জুন, ২০১৯, ১১:৩৪ এএম says : 0
........ নিয়া গ্যাঞ্জাম৷ কত সমস্যা আছে..ভার্সিটিতে ওগুলার খোজ নাই..এইসব নিয়া টাইম লস
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন