ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে বিআইডব্লিউটিএ এর উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ১৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বুধবার(০৩জুলাই) সকাল ১১টায় জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল গকুলচর এলাকা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর (ঢাকা নদী বন্দর) যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোঃ নুর হোসেন এবং বিআইডব্লিউটিএ এর প্লানিং অফ অপারেশনের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। মান্দাইল গকুলচর এলাকা থেকে আগানগর বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত ১৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসব উচ্ছেদকৃত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে তিন তলা ভবন ৩টি, দোতলা ভবন ৮টি, একতলা ভবন ২৩টি,আধপাকা ৬৫টি, টিনেরঘর ৩৮টি ও বাউন্ডারী ওয়াল ১৪টি । এই উচ্ছেদ অভিযানে বেদখলে থাকা সরকারের ১.৫ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়। জিনজিরা বাজার থেকে আগানগর বাবুবাজার ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাকসায়ীরা জানান, তারা নদীর সীমানার বাইরেই তাদের দোকানপাট ছিল। কিন্তু বিনা নোটিশেই বিআইডব্লিউটিএ তাদের দোকানপাটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর করে ফেলে । এতে তারা লক্ষলক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিআইডবিøউটিএ এর যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, নদীর তীরে সীমানা পিলারের ভিতরে যেসব স্থাপনা আছে আমরা শুধু ওইসব অবৈধ স্থাপনাই উচ্ছেদ করছি। সীমানা পিলারের বাইরে কোন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা আমাদের ক্ষমতা নেই। উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাপক সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন থাকায় উৎসক জনতা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাকসায়ী ও মালিকগন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন