বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্যোগে শীতলক্ষ্যার পূর্ব ও পশ্চিম তীরে নারায়ণগঞ্জ শহরের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওই অভিযান পরিচালিত হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেনসহ সহকারী পরিচালক নূর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া একটি ভেকু (এক্সাভেটর), বিপুল সংখ্যক পুলিশ, নৌ পুলিশ, আনসার সদস্য ও উচ্ছেদকর্মী উপস্থিত ছিল।
এদিকে উচ্ছেদ শেষে পন্টুনে উঠতে গিয়ে কাদামাটির কারণে হেলে পড়ে যায় ভেকুটি। পরে অপর একটি ভেকু এনে সেটিকে পন্টুনে তোলা হয়।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক পারাপার হয়। শহরে সেন্ট্রাল খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় ক ফল ব্যবসায়ীরা বাশ দিয়ে দোকান পেতে সড়কের অর্ধেকের বেশী অংশ দখল করে রেখেছিল। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট বড় দোকানতো ছিলই। এমনকি ভাতের হোটেলও গড়ে তোলা হয়েছিল। একই অবস্থা ছিল বন্দরের অংশেও।
সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের সিড়ির পাশে বাশ দিয়ে দোকান তুলে মোটা অংকের অ্যাডভান্স নিয়ে দোকান ভাড়াও দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছু মুরগী বিক্রির দোকানও দেখা গেছে। সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের উভয়পাশে দখলদারিত্বের কারণে যাত্রীদের ভীড়ের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। এসব দখলদারদের কারণে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন