২৬-৪-২০১৬ তারিখে চ্যানেল আইয়ে ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পী ছিলেন নজরুল সঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী সুজিত মোস্তফা। গানের মাঝে মাঝে তিনি শ্রোতাদের কাছ থেকে টেলিফোনে পাওয়া অনুরোধের গানও গেয়েছেন এবং বিভিন্ন গান রচনার পটভূমি ও ভাব বর্ণনা করেন। এক পর্যায়ে নজরুলের বিখ্যাত গান ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর অপরাধ’ পরিবেশন শেষে বলেন ‘আমাদের সমাজে সুন্দরী মেয়েদের দিকে তাকালে ‘ইভটিজিং’ হয়। কিন্তু কবি এই গানের মাধ্যমে ইভটিজিংকে জাস্টিফাই করে গেছেন। অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত শ্রোতা হিসেবে আমি মনে করি, শিল্পী সুজিত মোস্তফা যে বিষয়টিকে ইভটিজিং এবং ইভটিজিংকে কবি নজরুল জাস্টিফাই করে গেছেন বলে গণমাধ্যমে মন্তব্য করলেন তা সঠিক হয়নি। কারণ নজরুলের গানটি প্রচারের পর শোনা অঘটন ঘটেনি এবং ঘটার সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু সুন্দরী মেয়েদের দিকে তাকানো এবং যে তাকানোতে ইভটিজিং হয় তাকে জাস্টিফাই বলে স্বীকার করলে সমাজে ইভটিজিং ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তাই গানটির সঠিক ব্যাখ্যা দেবার জন্য সর্বজন প্রিয় শিল্পী ফেরদৌস আরা অথবা নজরুল গবেষক সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রফেসর রফিকুল ইসলামের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. আশরাফ আলী
মিরপুর-১, ঢাকা ১২১৬
ঝরে পড়া রোধে হোম ভিজিট জরুরি
গত ২৩ মার্চ বিদ্যালয় শেষে দু-তিনজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে হাজির হলাম। উদ্দেশ্য তাকে আবার বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা। শুনেছিলাম সে হাসপাতালে। আবার কেউ বলেছেÑ তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই সে বিদ্যালয়ে আর পড়বে না। যাই হোক ওই শিক্ষার্থীকে তার বাবা, বোন ও আর একজন শিক্ষকের সহায়তায় বোঝাতে চেষ্টা করলাম। পড়ালেখা না করলে মানুষ পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে। পরে তাকে কয়েকজন বিখ্যাত মনীষীর জীবন কাহিনী শোনালাম, যা শুনে সে অনুপ্রাণিত হয়। সে আমাকে বিদ্যালয়ে আসবে বলে কথা দেয় এবং ঠিক তিনদিন পরে সে বিদ্যালয়ে আসে।
আমি ক্লাসে বলেছিলাম, মেয়েটি যখন বিদ্যালয়ে আসবে, সবাই যেন তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে। তাকে সে বিদ্যালয়ে আসেনি কেন সে কথা ভুলেও যেন না বলে। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, প্রত্যেক শিক্ষার্থী আমার কথা রেখেছে। এটা আমার সাত বছরের শিক্ষকতা জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।
প্রাথমিক শিক্ষা সকল শিক্ষার মূল ভিত্তি। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে। মাঝে মাঝে দেখা যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। এজন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে (হোম ভিজিট) পরিদর্শন ছক পূরণ করা হলে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধ হবে। শিক্ষক হিসেবে আমরা যদি বছরে অন্তত পাঁচটি হোম ভিজিট করি তাহলে শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের শ্রদ্ধা ও মূল্যেবোধ জাগবে। বিদ্যালয়ের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা আন্তরিক হবেন।
বদরুন নাহার ববি, সহকারী শিক্ষক
৭৪ নম্বর কুতুবআইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন