মৌকরা দরবার শরীফের পীর সাহেব কেবলা ও জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ শাহ মো. নেছারউদ্দিন ওয়ালি উল্লাহী বলেছেন, জমিয়াতুল মোদারের্ছীন মাদরাসা শিক্ষকদের একটি আদর্শ সংগঠন। এ সংগঠন শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ১৩০ বছরের দাবি স্বতন্ত্র আরবি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে পেরেছে। আর এর কৃতত্ব সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ মাওলানা এ এম এম বাহাউদ্দিনের। তিনি আরও বলেন, মাদরাসা শিক্ষকরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত নয়। ইসলাম কখনও সন্ত্রাস পছন্দ করে না। একটি গোষ্ঠী ইসলামের অপপ্রচার করার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্ছীনের কমিটি পূর্ণগঠন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন।
উপজেলা নবনির্বাচিত জমিয়াতুল মোদার্ছীনের সভাপতি আলহাজ মাওলানা একেএম শামছুদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জমিয়াতুল মোদার্ছীনের কুমিল্লা জেলা সাধারন সম্পাদক ও কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মতিন। জমিয়াতুল মোদার্ছীনের সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম মোখলেছুর রহমান নোমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, মমিনুর রহমান ফটিক, এছাক খান, তালুকদার নাজমুল হাসান, ইদ্রিস মিয়াজীসহ আরও অনেকে।
মৌকরার পীর আরও বলেন, আলেম-ওলামারা হচ্ছে হুজুর পাক (সা.)-এর ওয়ারিশ। আল্লাহর রাসুল পৃথিবীর কারও থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি। ওনাকে শিক্ষা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতাআলা। আর আল্লাহর রাসুলের হাদিস শিক্ষার স্থান হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সভায় ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্ছীনের কমিটি গঠন করা হয়। সভা শেষে চৌদ্দগ্রাম বিভিন্ন মাদরাসার ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন