বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে অতিবর্ষণ বিপর্যস্ত জনজীবন

লালখান বাজারে পাহাড় ধস

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে টানা বর্ষণ অব্যাহত আছে। অতিবর্ষণের সাথে জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে মহানগরীর বিশাল এলাকা। অনেক এলাকায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর নিচু এলাকা, সড়ক, অলিগলি। গুদাম, আড়ত, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে নগরবাসি। বর্ষণের সময় নগরীর লালখান বাজারে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। তবে আগেই সেখানে বসবাসকারিদের সরিয়ে নেয়ায় কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীতে ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুÐে ২১৬ মি.মি.। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে আজ শুক্রবারও চট্টগ্রামে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে।

গতকাল অতিবর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ অধিকাংশ এলাকায় সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। নগরীর বেশিরভাগ সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করছে বিভিন্ন সংস্থা। বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় এসব সড়কে ব্যাপক গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরীর বেশিরভাগ সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তীব্র জট ছিল। নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁওসহ বিশাল এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। টানা বর্ষণের সাথে প্রবল জোয়ারে নগরীর অনেক এলাকায় পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। বৈরী আবহাওয়ায় কর্মজীবী বিশেষ করে শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে ভারী বর্ষণে নগরীর লালখান বাজার সংলগ্ন পোড়া কলোনি পাহাড়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন প্রাণহানি হয়নি। গতকাল সকাল ১০টায় পোড়া কলোনি পাহাড়ের উত্তর পাশে ধসের সৃষ্টি হয়। এতে কয়েকটি ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আগেই ৩৭ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ায় বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে জানান আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) শারমিন আখতার। তিনি বলেন, সরিয়ে নেয়া ৩৭ পরিবারের মধ্যে ১২ পরিবার জেলা প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তাদের খাবার এবং ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। বাকিরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে গেছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন