শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ঢাকায় বিমানবন্দর সড়কে পানি : যানজটে ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:৪৬ পিএম

রাতে এবং ভোরের বৃষ্টিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের সড়ক তলিয়ে যায় পানিতে। জমে যায় হাঁটুপানি। তাতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে সকালে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ এই বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার নিয়মিত যাত্রঅ যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এর সাথে রয়েছে হজ ফ্লাইট। তাদের সঙ্গে তিন-চার হাজার দর্শনার্থীও আসে। এছাড়া বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চলাচল করায় দিনের ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে এই স্থানটি।
শনিবার দিবাগত রাত ও রোববার ভোরের বৃষ্টিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কে পানি জমে। তাতে সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যানবাহন আটকে যায়। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগিরা জানায়, ঢাকা কাস্টম হাউসের সামনের সড়ক থেকে বিমানবন্দরের গোলচত্বর পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কটির বেশ কিছু স্থান প্রায় হাঁটুসমান পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে সে সময় তাই বিমানযাত্রী থেকে পথচারী সবাইকে পানি পেরিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছিল। পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কও ছিল এবড়োখেবড়ো। তাই অনেককে ফুটপাতে উঠতে পড়তে হচ্ছিল বিড়ম্বনায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা জাহাঙ্গীর নামের এক যাত্রী বলেন, দুবাইও দেখলাম। এখন ঢাকাও দেখছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশ নয়, খালমাতৃক দেশের পরিচয় জানতে শাহজালাল বিমানবন্দরই যথেষ্ট।
পানি জমে থাকায় প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা যাত্রীদেরও স্বস্তি মেলেনি। দীর্ঘ যানজট ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরের মসজিদের সামনের সড়ক পর্যন্ত। পানিতে আটকে থাকায় বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার বিকল হয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে যানজট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। গাড়ির সারি দীর্ঘ হতে হতে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত ছাড়িয়ে একেবারে বনানী রেল গেটে গিয়ে ঠেকে। ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পানি নেমে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা বলেন, পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই এখানে। তাই অল্প বৃষ্টিতেই নাকাল হতে হয়। একটি গাড়ি নষ্ট হলে অবস্থা আরও বেগতিক হয়। রেকার আনা যায় না। নালার মুখগুলো মাটি ও বালুতে আটকে থাকে। সিভিল অ্যাভিয়েশন (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) থেকে এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন