ইদানিং অসহিষ্ণুতার মাত্রা বেড়ে গেছে। সমাজে ভয়াবহ অস্থিরতা বিরাজ করছে। সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনগুলো যেন আলগা হয়ে গেছে। দয়া-মায়া, ¯েœহ-ভালোবাসা যেন বিলীন হতে যাচ্ছে। তুচ্ছ কারণে একে অপরকে হত্যা করছে নির্মমভাবে। এ লাগাম কে টেনে ধরবে? সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় জরুরি পদক্ষেপ নিন। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে জনসচেতনতা বাড়ান। মানবিক মূল্যেবোধ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। সমাজে চলমান অস্থিরতা রোধে দলমতনির্বিশেষে এগিয়ে আসুন। নারী ও শিশু নিগ্রহ থামান। অমানবিক নিষ্ঠুরতা আর দেখতে চাই না। অপরাধী যেই হোক তাকে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। দিন বদলের পালায়, আসুন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মন-মানসিকতা পালটাই। নিজেরা না পালটালে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আমাদের সবার বিবেকবোধ জাগ্রত হোক।
মো. নূরুজ্জামান
আশুলিয়া, সাভার ঢাকা।
হারিয়ে যাচ্ছে হা-ডু-ডু
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। কালের পরিক্রমায় এই হা-ডু-ডু খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই খেলা এক সময় ছিল অত্যধিক জনপ্রিয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে। বর্তমান প্রজন্ম ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় উৎসাহ পেলেও হা-ডু-ডু খেলায় উৎসাহী নয়। হা-ডু-ডুকে জনপ্রিয় করতে সরকারি উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় বাংলাদেশে হা-ডু-ডু খেলাকে জাতীয় খেলা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জার সম্মুখীন হতে হবে।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়াপাড়া, চাপানীহাট, ডিমলা, নীলফামারী
নারী-শিক্ষা
মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। এই শিক্ষা আমরা পাই পরিবার থেকে। মা-ই হচ্ছে এর প্রধান শিক্ষক। মা শিক্ষিত হলে সন্তান শিক্ষিত হবে, হবে জাতি শিক্ষিত। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতেও নারীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। পুরুষশাসিত সমাজ নারীদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ভুলে যায় যে নারী-শিক্ষা ছাড়া উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর সম্ভব না। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ ধারাতে বলা হয়েছে ‘সকল নাগরিকদের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন।’ এছাড়া বলা হয়েছে, সুযোগের সমতা মানুষে মানুষে সামাজিক অর্থনৈতিক অসামান্য বিলোপ করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু রাষ্ট্র কি পেরেছে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকার নারী-শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া সত্ত্বেও নারী-শিক্ষা ত্বরান্বিত হচ্ছে না। এর পেছনে অজ্ঞতাই প্রধান কারণ। নারী-শিক্ষা ত্বরান্বিত করতে হলে বয়স্কদের শিক্ষা বাল্যবিবাহ রোধ করা, সরকারি বৃত্তি সঠিক কাজে প্রয়োগ করতে হবে।
মাহফুজুর রহমান
চতর নয়াপাড়া, গাজীপুর।
প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা
আধুনিক সভ্যতায় একটি দেশের প্রযুক্তির প্রসার মানেই উন্নতির একধাপ সম্প্রসারণ। ২০০৬-২০০৭ সালের পর খুব দ্রুতই আমাদের দেশে প্রযুক্তির প্রসার হতে থাকে। এতে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নির্ভরতার মাধ্যমে যেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, তেমনি চাহিদাও হচ্ছে পরিবর্তন। প্রযুক্তি আজ আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। আগে যেমন ঘরের মাটির বদ্ধ পাত্রই ছিল সঞ্চিত অর্থ নিরাপত্তার একমাত্র অবলম্বন, সেখানে আজ মানুষ প্রযুক্তির ওপর ভরসা রেখেই বেছে নিয়েছে ব্যাংক। মানুষ সব সময় সবকিছু অল্প ব্যয়ে, অল্প পরিশ্রমে, অল্প সময়ে এবং সহজতর পদ্ধতি অবলম্বনে আগ্রহী। আর প্রযুক্তির কারণে গড়ে ওঠা মোবাইল ব্যাংকিং আজ দিয়েছে আমাদের তেমনি এক অর্থনেতিক লেনদেনে সুবিধা। তবে এমন আর্থিক লেনদেন কতটা নিরাপদ সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা অনলাইন হ্যাকিং-এর আর্থিক চুর আজ প্রযুক্তির ওপর ভরসাটাকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। উন্নয়নের স্বার্থে এবং প্রযুক্তির সঠিক বিকাশ লাভের জন্য আমাদের দেশে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তাটাকে আরো জোরদার করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তৌকির আহমেদ
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন