বগুড়ার শাহজাহান আলী (৬০) নামে এক চাতাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে হত্যা ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে তিনটি ষাঁড়, দুইটি খাসি ও নগদ টাকাসহ প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে আহত স্ত্রী মেরিনাকে (৫০) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
আজ শনিবার ভোররাত প্রায় তিনটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন খুদি সাহার পুকুরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আহত মেরিনা জানান, প্রায় সাত বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তিনি ধুনট উপজেলার হুসিয়ারপাড়া থেকে শেরপুর উপজেলায় আসেন এবং ভবানী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তির চাতাল ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
চাতাল ব্যবসার পাশাপাশি তারা বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে গরু ও ছাগল পালন কর আসছেন। কোরবানি ঈদে বিক্রির উপযোগী তিনটি বড় আকারের ষাঁড় গরু ও তিনটি খাসি তাদের খামারে ছিল। তবে ধান-চালের ব্যবসায় মন্দার কারণে বর্তমানে চাতাল বন্ধ রয়েছে।
তিনি জানান, শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে ঘুমের ঘোরে স্বামী শাহজাহান আলীর হাত-পা বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এতে কে কে বলে চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তার স্বামীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এদিকে স্বামীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় স্ত্রী মেরিনার। তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে আহত করে তার গলায় থাকা সোনার চেইন, কানের দুল, নাক ফুল খুলে নেয়। ঘরে সবকিছু তছনছ করে বেশ কিছু নগদ টাকা ও সবমিলে প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় তারা। পরে কোরবানি ঈদে বিক্রির উপযোগী খামারে থাকা তিনটি বড় আকারের ষাঁড় গরু ও দুইটি খাসি লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আজ শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘটনাটি টের পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে আমার স্বামীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং আমাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে তৎপরতা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় মামলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন