জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক বিমান মন্ত্রী জিএম কাদের এমপি বলেন, বন্যায় মানুষ খুবই কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ি সরকারের ত্রাণ তৎপরতা তেমন নেই। তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে ‘৮৬ দুর্যোগের সময় নিজে পানিতে নেমে বানভাসিদের মধ্যে রিলিফ বিতরণ করেছেন। মানুষের ঘরে ঢুকে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। দেশবাসির প্রতি ছিল তার অসীম ভালোবাসা। তাই বন্যার্তরা সেসময় পর্যাপ্ত ত্রাণ পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিকুল পরিবেশে সরকারের বাইরে থেকে পর্যাপ্ত রিলিফ বিতরণ করতে পারবো না। কিন্তু জনগণের প্রতি ভালোবাসা থেকে সীমিত সামর্থ নিয়ে বানভাসিদের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, সরকারের উচিত যেভাবে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেককে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা।
শনিবার গাইবান্ধা এনএইচ মডার্ণ হাইস্কুলে আশ্রয় গ্রহণকারি বন্যার্ত জনগণের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি আব্দুর রশিদ সরকার, সরওয়ার হোসেন শাহীন প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের আরও বলেন, আমরা এই দুর্দিনে আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের কষ্টের ভাগিদার হতে এসেছি। আমরা যেখানেই গেছি, সেখানেই সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসেইন এরশাদের জন্য সাধারণ মানুষের চোখের পানি দেখেছি। তারজন্য মানুষের ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। এই জনপ্রিয় নেতার আদর্শ নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। আপনারা দোয়া করবেন আগামীতে যাতে আমরা সরকার গঠন করতে পারি। আমরা মানুষের দুঃখ দুর্দশা দুর করার চেষ্টা করবো।
এর আগে জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর হাইস্কুল মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। পরে বাদামের চর ও লালচামার চরে বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। নেতৃবৃন্দ গাইবান্ধা শহরের জেলখানা মোড়েও এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানেও কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ওইসব সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম সরকার, শাহজাহান খান আবু, রাগিব হাসান চৌধুরী হাবুল, রেজাউন্নবী রাজু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন