মাছ আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষের অধিকাংশই সরবরাহ করে। প্রাকৃতিকভাবে খাল-বিল-নদীনালায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। তাছাড়া ব্যাপক চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে পুকুর-দীঘি-জলাশয়ে মাছ চাষ করা হয়। বেকারত্ব ঘোচানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মাছ চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। পতিত পুকুর-দীঘি-জলাশয়ে মাছ চাষ করা হয়। বেকারত্ব ঘোচানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মাছ চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। পতিত পুকুর-দীঘি-জলাশয়ে মাছের চাষ করা হচ্ছে। এসব জলাশয় নিয়ে বিরোধ থাকা অস্বাভাবিক নয়। লিজসংক্রান্ত ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা প্রায়ই মিডিয়ার শিরোনাম হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনায় মাছ চাষকারী ব্যক্তি আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শুধু পুকুর কিংবা জলাশয় নয়Ñ মাছের অভয়ারণ্যসহ আশপাশের নদী ও খালে নির্বিচারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। বিষ প্রয়োগে শিকার করা মাছ বাজারে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা তা না জেনেই কিনছেন। পরে এ বিষমুক্ত মাছ খেয়ে অনেকেই পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী দীর্ঘদিন এ মাছ খেলে মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকিও থাকে। কঠোর আইন না থাকায় দিন দিন এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। আমরা আশা করি, দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নে মৎস্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের আর্থিক সুরক্ষার বিষয়টিও বিচেনায় নিতে হবে।
মো. রেদোয়ান হোসেন,
বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল
শব্দদূষণ
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত অনেক শব্দ শুনতে পাই। এসব শব্দ নিঃসন্দেহে মানুষ ও জীবজন্তুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও আজকাল মানুষ বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে ও মাইক বাজিয়ে শব্দদূষণ করে চলেছে। এছাড়া কল-কারখানার বড় বড় যন্ত্রপাতির ব্যবহারও শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। এই শব্দদূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। আর এর ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমে ব্যাঘাত ও কর্মক্ষমতা হ্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অতি দ্রুত শব্দদূষণ রোধ করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রথমে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা ২০০৬ সালে পাস করা শব্দদূষণ আইন বাস্তবে রূপ দেয়া গেলে শব্দদূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। আর আমরা একটু সচেতন হলেই শব্দদূষণ চিরতরে বন্ধ হবে। তাই আসুন, নিজের ও অন্যের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ থেকে দূরে থাকি।
মো. মানিক উল্লাহ
গ্রাম : মাজগ্রাম, ডাকঘর : বেতিল হাটখোলা,
থানা : এনায়েতপুর, জেলা : সিরাজগঞ্জ।
চাই ঘুষখোরদের চির বিদায়
গত ৬ মে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত ‘রাজউকের ইট পাথরও যেন ঘুষ চায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়ে আমরা জানলাম, রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অন্যের জমিতে বাড়ি নির্মাণের প্লান পাস, ভবনের নকশা অনুমোদন, বছরের পর বছর ঘুরিয়ে প্লট বুঝিয়ে দেয়। নানা কারণে ভোগান্তির শিকার হওয়া মানুষের ভিড় এখনো রাজউকে রয়ে গেছে। রাজউকের লোকরাই আবার শোনায়, ‘সমস্যা নেই, আমি রাজউকেরই লোক। কোনো টেনশন করবেন না, যেভাবেই হোক কাজটি করিয়ে দেব। কাগজপত্র আমিই দেখে দেব। টাকা-পয়সা ভাই কম দিয়েন না।’ ওই প্রতিবেদন পড়ে বুঝলাম ঘুষখোরদের ঘুষ নেয়া বন্ধ হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাকে ঘুষ না দিলে কোনো ফাইলই নড়ে না, ফাইলও চলে না। ঘুষ দিলেই সব ঠিকঠাকÑ ফাইল নড়েচড়ে ওঠেÑ কাজও হয়ে যায় সহজে। এদিকে সরকার বেতনভাতাদি বাড়ালেন এই ভেবে যে ১. সরকারি চাকুরেরা একটু সুন্দরভাবে থাকবেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। ২. ঘুষ নেবেন না, মানুষের উপকার করবেন। ফাইল আটকিয়ে রাখবেন নাÑ টাকা ছাড়া কাজ করে দেবেন। ইত্তেফাকে প্রকাশিত রাজউককে নিয়ে রিপোর্টটি তা তো প্রমাণ করে না। ঘুষখোরদের একটি তালিকা তৈরি করার দায়-দায়িত্ব তো সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগেরই ওপর বর্তায়। এও জানি, ঘুষখোরদের চরিত্র সহজে পাল্টাবে না। তাই তাদের হাতেনাতে ধরে কিংবা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘুষখোরদের চিরতরে বিদায় করার উদ্যোগ নেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগÑ আমাদের এটাই প্রত্যাশায়।
লিয়াকত হোসেন খোকন,
রূপনগর, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন