বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বর্ষায় নাকাল স্বরূপকাঠি পৌরবাসী

মো. হাবিবুল্লাহ, নেছারাবাদ (পিরোজপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে স্বরূপকাঠি পৌর শহরে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে টইট¤ু^র হয়ে পড়ে শহরের রাস্তা-ঘাট। এতে করে বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কারণে পৌর এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
জানা গেছে, পৌরসভা গঠনের মাত্র ১০ বছরের মাথায় তা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে মর্যাদা পেলেও তুলনামূলকভাবে মোটেও বাড়েনি স্বরূপকাঠি পৌরসভার সেবার মান। যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়, নিম্নমানের ভাঙাচোড়া রাস্তা আর মশা মাছির উপদ্রপে ক্রমেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে নাগরিক জীবন। গতকাল সামান্য বর্ষণে বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে খোদ পৌর শহরের পাইলট স্কুল থেকে পৌরসভার সম্মুখ বাসষ্ট্যান্ড সড়কটি। এছাড়াও থানা রোড, উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক, সরদারবাড়ি সড়ক, সোনালী ব্যাংক রোডসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের অধিকাংশ জায়গা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলা রোডের মো. মাসুদ রানা পলাশ জানান, উপজেলা সংলগ্ন অল্প একটু ভিতরে তারসহ কয়েকটি বাসা। সামান্য একটু বৃষ্টিতে তাদের রাস্তা প্রায় সময়ই পানিতে নিমজ্জিত হয়ে থাকে। অথচ আনুমানিক মাত্র দু’হাজার টাকা খরচ করে সেখানে একটি ড্রেন বানানো যায়। যা পৌরসভার দৃষ্টিতে পড়ে না।
স্বরূপকাঠি পাইলট স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জানান, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ নির্মাণের ফলে তাদের বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে পানি নির্গমন হচ্ছে না। এছাড়া ভাঙা রাস্তায় পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার জানান, এ পৌরসভায় রাস্তাঘাটের কাজের দরপত্র সর্বদা উম্মুক্ত পদ্ধতিতে হয়না। উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি না থাকার ফলে মেয়র বেশির ভাগ সময়ই চাপা টেন্ডার দিয়ে পছন্দের ঠিকাদার দিয়ে কাজ করান। যার ফলেই কাজের মান খারাপ ও অপরিকল্পিত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন