বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ গভীর রাতে হত্যা মামলার আসামীদের হামলায় আব্দুস ছালাম সরদার (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ হামলায় নিহতের বড়ভাইসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেছে।
নিহত আব্দুস ছালাম সরদার কুমারখালী গ্রামের এরফান সরদারের ছেলে। আহতরা হলেন আব্দুস ছালাম সরদারের বড় ভাই লোকমান সরদার, স্ত্রী মালা বেগম, তোরফান সরদারের ছেলে মোজাম সরদার, সলেমান সরদারের স্ত্রী মঞ্জু বেগম, ছেলে রাকীব সরদার, ইসমাইল সরদারের ছেলে শামীম সরদার, ইসমাইল সরদারের স্ত্রী রেক্সোনা বেগম, ছেলে শাহিন সরদার, শামীম সরদারের স্ত্রী জান্নাতী বেগম।
নিহত আব্দুস ছালাম সরদারের চাচাতো ভাই সলেমান সরদার বলেন, রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত তিনটার দিকে এনায়েত শিকদার হত্যা মামলার আসামী কবির মোল্লা ও মন্টু মোল্লার নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে থাকা সকলকে উপর্যুপরী কোপাতে থাকে। লাঠি দিয়েও পিটাতে থাকে। এতে আমাদের কয়েক পরিবারের দশ জন গুরুত্বর আহত হয়। সকলকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। যাওয়ার পথেই আমার চাচাতো ভাই আব্দুস ছালাম সরদার মারা যায়। হামলাকারীরা আমাদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।আমাদের পরিবারের ৬ সদস্য এনায়েত শিকদার হত্যা মামলার স্বাক্ষী। এ জন্যই আমাদের উপর এ হামলা বলে জানান সলেমান সরদার।
তবে কবির মোল্লা ও মন্টু মোল্লার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন বলেন, রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে পক্ষের মধ্যে মামলা, হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তিন বছর কবির মোল্লার বড় ভাই মোন্তাজ মোল্লাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয় সরদার বাড়ির লোকজন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, কুমারখালী গ্রামে হামলার ঘটনায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে, হামলায় জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন