শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত, এলাকায় আতংক

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৯, ৭:৫৬ পিএম

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার দু’টি গ্রাম ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের আতংক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যেই একজন গৃহবধু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রত্যন্ত গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের খবরে এ আতংকের সৃস্টি হয়।

সরে জমিনে জানা যায়, উপজেলার সোনাইকাজী গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে সুমি বেগম (২৬)। তার বাবার বাড়ী থেকে বালারহাট বাজরের পাশে কুরুষফেরুষা গ্রামের বোন জামাই এর বাড়ীতে গেলে প্রচন্ড মাথাব্যাথা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও জ্বর। দ্রুত তাকে লালমনিরহাট সদরের রাফি ম্যাডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পরে তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি বাবার বাড়ীতে চলে আসেন। তার দুটি শিশু সন্তান তোয়া (১) ও শিহাব রয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল তাকলেও ভয়ে রয়েছেন তিনিসহ ওই গ্রামের লোকজন। ইতিপূর্বে ঐ এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া না গেলেও এখন গ্রামাঞ্চলের নারী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে । এলাকাবাসির ধারণা করছেন ঢাকায় বসবাসরত অনেকেই ঈদে বাড়িতে আসছেন। এছাড়াও ঢাকা থেকে ফুলবাড়ীগামী নাইটকোচ ও যানবাহনের মাধ্যমে এডিস মশা এ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।

সুমি আক্তার জানান, ১৮ জুলাই শরীরে জ্বর অনুভুত হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। ২৬ জুলাই রংপুর হাসপাতালে ভর্তি হই। অনেকটা সুস্থ্যতা বোধ করায় বাড়িতে ফিরি।

সুমি আক্তারের স্বামী স্কুল শিক্ষক মোঃ খোরশেদ আলম জানান, আমি নিজেই ভয় ভয়ে রয়েছি। সদ্য আমাদের গ্রাম প্রানকৃঞ্চ থেকে বানের পানি নেমে গেছে। এখানে এডিস মশা আসলো কী ভাবে? আর এডিস মশা না থাকলে আমার স্ত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলো কী ভাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছি না। আমার গ্রামের অনেকেই এখন ডেঙ্গু আতংকে রয়েছেন। তিনি আরো জানান,তা স্ত্রীকে লালমনিরহাট রাফি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ এ.এস.এম শাফিউজ্জামান(শাফি) এর তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ডাক্তার সেখানে শরীরে ডেঙ্গুর জীবানু সনাক্ত করেন । পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে ২৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে শুক্রবার বাড়িতে নিয়ে আসি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ্য নয়। ভয়ে ভয়ে আছি।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম আমিনুল ইসলাম জানান, জেলায় এডিস মশা আছে এমন তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই। তবে ফুলবাড়িতে গৃহবধূ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন