আমাদের দেশে একটা সময় বিরাট সম্ভাবনাময় ছিল তাঁত শিল্প। তখন এই তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত থাকত হাজারো মানুষ। সুতা থেকে কাপড় তৈরি করা ছিল এই তাঁত শিল্পের কাজ। তাঁত শিল্প থেকে উৎপাদিত কাপড় দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করা হতো। ফলে তাঁত শিল্পের মালিকদের পাশাপাশি ওই তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত গ্রামের হতদরিদ্র মানুষও আর্থিকভাবে লাভবান হতো; অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখত এই তাঁত শিল্প। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজকাল তাঁত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশের অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অধিক হারে সুতার দাম বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচের চেয়ে কাপড়ের দাম কম হওয়া ইত্যাদি তাঁত শিল্প বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। আর এই তাঁত শিল্প বিলুপ্তির ফলে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তারা হলেন গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ। কেননা, তারা কর্মসংস্থান হারিয়ে অনেকে এখন বেকার অবস্থায় রয়েছেন। তাই তাঁত শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সরকার যদি তাঁত শিল্পে উৎপাদিত কাপড়ের উচ্চ বাজার তৈরি করতে পারে এবং তাঁত শিল্প মালিকদের উৎসাহ প্রদান করতে পারে তাহলে হয়তো তাঁত শিল্প তার হারানো রূপ ফিরে পেতে পারে। তাই দেশের তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং হতদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাতে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোঃ মানিক উল্লাহ
গ্রাম : মাজগ্রাম, ডাকঘর : বেতিল হাটখোলা, থানা : এনায়েতপুর, জেলা : সিরাজগঞ্জ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি
যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নতির নিয়ামক হলো, জনগণের অংশগ্রহণ ও সুশাসন। রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা সুসংহত রেখে জনগণের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করাই সুশাসন। আর সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন-সংগঠনের বিকল্প কিছুই নেই। প্রশাসনের সর্বনি¤œ থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর যৌথ প্রয়াসে সফল হয় একটা রাষ্ট্রযন্ত্র। জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের একমাত্র লক্ষ্য। তাই, রাষ্ট্র নামক যন্ত্রটির চালিকাশক্তি প্রশাসনের কর্মীরা হবেন কল্যাণকামী অনুগত সেবক। মেধা-সম্ভাবনা-দক্ষতার পাশাপাশি কর্তব্যনিষ্ঠা কর্মী সংগ্রহের মাপকাঠি। রাষ্ট্রীয় নিয়োগে পশ্চাৎপদ ও অবহেলিত সম্প্রদায়কে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদানে কেউই দ্বিমত হবেন না। তাই বলে, দয়া ও করুণা দেখাতে গিয়ে অযোগ্য ও মেধাহীন ব্যক্তির নিয়োগ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক ও সম্পদের অপব্যবহার করার নামান্তর। অপরীক্ষিত ও অদক্ষ কর্মী রাষ্ট্রকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। দুর্গত ও অসহায় মানুষদের রাষ্ট্রীয সাহায্য ও ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু বাড়তি সুবিধা প্রদানের জন্য পুরো দেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব তুলে দেয়া যায় না। স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ অথবা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগের ফলাফল আমরা প্রতিদিন ভোগ করছি। প্রশাসনিক বিভাগের বদৌলতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছি এবং জীবনমানের সূচক নিচের কোটায় নেমেছে। কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তরা আমাদের কোথায় নিয়ে গেছেন? তাই মনে করি যে, রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, প্রতিবন্ধী, মহিলা ইত্যাদি গোষ্ঠীর মানুষকে ইচ্ছেমতো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ, আরাম-আয়েশ, ক্ষমতা দান করুক তাতে কারো আপত্তি থাকবে না তবে রাষ্ট্রের সত্যিকার মঙ্গলের জন্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে সরকারি চাকরিতে যোগ্যতমকে নিয়োগ দেয়া দেশপ্রেমের শামিল বলে মনে করি। পার্থিব সুখ ভোগের জন্য কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি দেশকে পিছিয়ে রাখার দাবি ছাড়া আর কিছূ নয়। মেধাভিত্তিক প্রশাসনের সমকক্ষ আর কিছুই নয়। তাই, কোটা পদ্ধতি বাতিল করা সময়ের দাবি।
আশরাফুল ইসলাম
চুনারুঘাট।
জাল টাকার ছড়াছড়ি
‘চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’, এটি টাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। টাকা মানুষের চাহিদা পূরণের এক অন্যতম বাহন। এই টাকা আয় করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। টাকা ছাড়া মানুষের চলাচল কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় এই টাকা এখন নকল হয়ে মানুষের পকেটে পকেটে ঘুরছে। একটি কুচক্রী মহল জাল টাকা বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিয়ে মানুষের পকেটকেও জাল বানিয়ে দিচ্ছে। জাল টাকা বানানোর হোতারা সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে নিজে কোটিপতি বনে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের হতাশা বাড়বে। জাল টাকা তৈরিকারকদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যকীয়। চিরুনি অভিযান চালিয়ে মানুষকে জাল টাকার প্রতারণা থেকে রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ আজিনুর রহমান লি
চিঠিপত্র : তাঁত শিল্প উন্নয়নে নজর দিন
আমাদের দেশে একটা সময় বিরাট সম্ভাবনাময় ছিল তাঁত শিল্প। তখন এই তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত থাকত হাজারো মানুষ। সুতা থেকে কাপড় তৈরি করা ছিল এই তাঁত শিল্পের কাজ। তাঁত শিল্প থেকে উৎপাদিত কাপড় দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করা হতো। ফলে তাঁত শিল্পের মালিকদের পাশাপাশি ওই তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত গ্রামের হতদরিদ্র মানুষও আর্থিকভাবে লাভবান হতো; অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখত এই তাঁত শিল্প। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজকাল তাঁত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশের অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অধিক হারে সুতার দাম বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচের চেয়ে কাপড়ের দাম কম হওয়া ইত্যাদি তাঁত শিল্প বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। আর এই তাঁত শিল্প বিলুপ্তির ফলে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তারা হলেন গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ। কেননা, তারা কর্মসংস্থান হারিয়ে অনেকে এখন বেকার অবস্থায় রয়েছেন। তাই তাঁত শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সরকার যদি তাঁত শিল্পে উৎপাদিত কাপড়ের উচ্চ বাজার তৈরি করতে পারে এবং তাঁত শিল্প মালিকদের উৎসাহ প্রদান করতে পারে তাহলে হয়তো তাঁত শিল্প তার হারানো রূপ ফিরে পেতে পারে। তাই দেশের তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং হতদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাতে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোঃ মানিক উল্লাহ
গ্রাম : মাজগ্রাম, ডাকঘর : বেতিল হাটখোলা, থানা : এনায়েতপুর, জেলা : সিরাজগঞ্জ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি
যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নতির নিয়ামক হলো, জনগণের অংশগ্রহণ ও সুশাসন। রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা সুসংহত রেখে জনগণের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করাই সুশাসন। আর সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন-সংগঠনের বিকল্প কিছুই নেই। প্রশাসনের সর্বনি¤œ থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর যৌথ প্রয়াসে সফল হয় একটা রাষ্ট্রযন্ত্র। জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের একমাত্র লক্ষ্য। তাই, রাষ্ট্র নামক যন্ত্রটির চালিকাশক্তি প্রশাসনের কর্মীরা হবেন কল্যাণকামী অনুগত সেবক। মেধা-সম্ভাবনা-দক্ষতার পাশাপাশি কর্তব্যনিষ্ঠা কর্মী সংগ্রহের মাপকাঠি। রাষ্ট্রীয় নিয়োগে পশ্চাৎপদ ও অবহেলিত সম্প্রদায়কে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদানে কেউই দ্বিমত হবেন না। তাই বলে, দয়া ও করুণা দেখাতে গিয়ে অযোগ্য ও মেধাহীন ব্যক্তির নিয়োগ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক ও সম্পদের অপব্যবহার করার নামান্তর। অপরীক্ষিত ও অদক্ষ কর্মী রাষ্ট্রকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। দুর্গত ও অসহায় মানুষদের রাষ্ট্রীয সাহায্য ও ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু বাড়তি সুবিধা প্রদানের জন্য পুরো দেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব তুলে দেয়া যায় না। স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ অথবা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগের ফলাফল আমরা প্রতিদিন ভোগ করছি। প্রশাসনিক বিভাগের বদৌলতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছি এবং জীবনমানের সূচক নিচের কোটায় নেমেছে। কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তরা আমাদের কোথায় নিয়ে গেছেন? তাই মনে করি যে, রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, প্রতিবন্ধী, মহিলা ইত্যাদি গোষ্ঠীর মানুষকে ইচ্ছেমতো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ, আরাম-আয়েশ, ক্ষমতা দান করুক তাতে কারো আপত্তি থাকবে না তবে রাষ্ট্রের সত্যিকার মঙ্গলের জন্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে সরকারি চাকরিতে যোগ্যতমকে নিয়োগ দেয়া দেশপ্রেমের শামিল বলে মনে করি। পার্থিব সুখ ভোগের জন্য কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি দেশকে পিছিয়ে রাখার দাবি ছাড়া আর কিছূ নয়। মেধাভিত্তিক প্রশাসনের সমকক্ষ আর কিছুই নয়। তাই, কোটা পদ্ধতি বাতিল করা সময়ের দাবি।
আশরাফুল ইসলাম
চুনারুঘাট।
জাল টাকার ছড়াছড়ি
‘চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’, এটি টাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। টাকা মানুষের চাহিদা পূরণের এক অন্যতম বাহন। এই টাকা আয় করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। টাকা ছাড়া মানুষের চলাচল কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় এই টাকা এখন নকল হয়ে মানুষের পকেটে পকেটে ঘুরছে। একটি কুচক্রী মহল জাল টাকা বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিয়ে মানুষের পকেটকেও জাল বানিয়ে দিচ্ছে। জাল টাকা বানানোর হোতারা সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে নিজে কোটিপতি বনে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের হতাশা বাড়বে। জাল টাকা তৈরিকারকদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যকীয়। চিরুনি অভিযান চালিয়ে মানুষকে জাল টাকার প্রতারণা থেকে রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ আজিনুর রহমান লিমন
গ্রাম : আছানধনী মিয়াপাড়া, ডাক : চাপানীহাট, উপজেলা : ডিমলা, জেলা : নীলফামারী।
মন
গ্রাম : আছানধনী মিয়াপাড়া, ডাক : চাপানীহাট, উপজেলা : ডিমলা, জেলা : নীলফামারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন