কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে গোষ্ঠীগত দ›দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকালে উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের শ্যামপুরপাড়া গ্রামে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, শরীফ (৩০) পিতা কাদির মিয়া। ফুরকান (৩০) পিতা-লাহত আলী। আহত হয়েছেন ১৫ জন। আহতদের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, জালাল উদ্দিন (৫০), শাহজামাল (৩২), স্বপন মিয়া (৪৫), তৌহিদ মিয়া (৪০), শেফাত উল্লাহ (২০), সালমা খাতুন (২৫)। অন্যান্যদেরকে ভৈরব বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মওলা মিয়াকে নজরুল ও ফারুকের লোকজন মারধর করে বলে বাক্কার মেম্বারের বাড়িতে খবর আসে। এই খবর পেয়ে বাক্কার মেম্বারের লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা করতে গেলে প্রতিপক্ষ নজরুল ও ফারুকের লোকজন দেশীয় ও আগ্নীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে শরিফ মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যায় আর ফুরকান মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছে। গতকাল থানা সূত্রে জানা যায়, ফুরকান ও শরিফের লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তাদের দাফন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন