আগামী ২২ আগস্ট সীমিত আকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা রয়েছে। তবে এ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের দুদুল্যমানতা। তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না যে মিয়ানমার সরকার সেখানে তাদের নাগরিকত্ব সহ দাবী গুলো মেনে নেবে কিনা। আর এনিয়ে সন্দেহ সংশয়েে রয়েছেন বাংলাদেশী কর্মকর্তারাও।
এই সন্দেহ সংশয়ের মধ্যেও চলছে সীমিত আকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রস্তুতি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।
এ চুক্তি অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার তারিখ নির্ধারণ করলেও শেষ সময়ে এসে বেঁকে বসে রোহিঙ্গারা। নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগ, সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কোনও প্রতিশ্রুতি না থাকা, নিজ গ্রামে ফিরে যেতে না দিয়ে বদ্ধ শিবিরে আটকে রাখার আশঙ্কা, নাগরিকত্ব না দেওয়া ইত্যাদি কারণে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাননি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা।
এ কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও শুরু করা যায়নি। তবে সেসময়েই উখিয়ার ঘুমধুমের প্রত্যাবাসন ঘাটের পাশাপাশি টেকনাফের নাফ নদী তীরের এই কেরণতলী (নয়াপাড়া) প্রত্যাবাসন ঘাটটি নির্মাণ হয়েছিল।
এর মধ্যে টেকনাফের প্রত্যাবাসন ঘাটে প্যারাবনের ভেতর দিয়ে লম্বা কাঠের জেটি, ৩৩টি সেমি-টিনের থাকার ঘর, চারটি শৌচাগার রয়েছে। সেখানে ১৬ আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন