মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ধর্ষিতা কিশোরী মিনহাজকে মামা বলে ডাকতো!

বিয়ানীবাজারে সেই ধর্ষক আটক, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

বিয়ানীবাজার (সিলেট) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৯, ২:০৫ পিএম | আপডেট : ২:৩৮ পিএম, ২১ আগস্ট, ২০১৯

বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজারে কিশোরী ধর্ষণ ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত মিনহাজকে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে মাথিউরা ইউনিয়নের এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার থানা পুলিশ তাকে আটক আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।
গত ১৪ আগষ্ট বুধবার সকালে বিয়ানীবাজার উপজেলার আঙ্গুরা (পালোকোনা) গ্রামের হতিদরিদ্র পরিবারের কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আটক মিনহাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ধর্ষিতাকে প্রথমে বিয়ানীবাজার সরকারী হাসপাতালে পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টা ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করিয়ে ৩ দিন চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর ভাই আমিন হোসেন বাদী হয়ে ১৭ আগষ্ট বিয়ানীবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ১৯ আগষ্ট ধর্ষিতার জবানবন্দি আদালতে ২২ ধারায় রেকর্ড করে তাকে তার পিতার জিম্মায় দেন।
এদিকে মামলা রেকর্ডেরও পর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত মৃত আব্দুল খালিক এর পুত্র মিনহাজ উদ্দিনকে আটক করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আটকের চেষ্ঠা চালান। পুলিশ জানিয়েছে, চতুর মিনহাজ যাতে পুলিশ না চিনে সে জন্য সে তার চেহারায় পরিবর্তন আনতে দাড়ি কেটে ফেলে। একই সাথে সে কিছু সময় পরপর তার অবস্থান বদল করে। যার কারণে মিনহাজকে সহজে পাকড়াও করতে পারছিল না পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে মিনহাজ মাথিউরা এলাকায় অবস্থান করছে। সাথে সাথে পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মিনহাজ উদ্দিন (২৫) জানিয়েছে, সে ও ধর্ষিতার বাড়ী পাশাপাশি। ধর্ষিতা কিশোরী তাকে মামা বলে ডাকতো। ঘটনার দিন সকালে পুর্বের কথা মতো ধর্ষিতা মিনহাজের সাথে দেখা করতে আসে। মিনহাজ পুলিশকে এও জানিয়েছে, ধর্ষিতার ইচ্ছাতেই সব হয়েছে। তাবে তার বোন তা দেখে ফেলায় সমস্যা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক আসামী মিনহাজের এই বক্তব্যকে সাজানো উল্লেখ করে বলেন, মিনহাজ শেখানো কথা বলছে। সে কিশোরী অসহায় মেয়েটিকে জোর করে একা ঘরে এনে ধর্ষণ করেছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে এলে সে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য প্রদান করবে বলে তিনি আশাবাদী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন