এএফসি কাপের ইন্টারজোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ এসসি’কে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচে আবাহনী ৪-৩ গোলে হারায় এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ’কে। বিজয়ী দলের হয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা দু’টি এবং মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন একটি করে গোল করেন।
নানা কারণে অনেকটা খর্ব শক্তির দল নিয়ে বুধবার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ’কে মোকাবেলা করে আবাহনী। ঈশা আলেলদিন নাসের, মাসি সাইগানি ও মামুনুল ইসলামরা ছিলেন না একাদশে। কিন্তু তাদের অভাবই অনুভব করতে দেননি সানডে সিজোবা, নাবীব নেওয়াজ জীবনরা। আবাহনী ফরোয়ার্ডরা গতি আর দুর্দান্ত নৈপূন্যে বার বার আঘাত হেনেছে সফরকারী দলের রক্ষণদূর্গে। প্রত্যেকবারই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন তারা। শেষ পর্যন্ত বিজয়ী বেশেই মাঠ ছেড়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর সব থেকে বড় ভয় ছিল রক্ষণভাগ নিয়ে। অনেক চেষ্টা করেও রক্ষণে একজনের বেশি বিদেশী ফুটবলার রাখতে পারেনি তারা। তাই ম্যাচে রক্ষণভাগের গুরু দায়িত্বটা ওয়ালী, রায়হান ও মামুন মিয়াদের উপরই বেশি ছিলো। ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি মধ্যমাঠের অন্যতম ফুটবলার মামুনুল ইসলাম। তারপরও ম্যাচের শুরুর থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় আবাহনী। সাড়াশি আক্রমনে শুরু করলেও স্বাগতিক দল গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৩৩ মিনিটে। এসময় নাবীব নেওয়াজ জীবনের ব্যকহিলে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা (১-০)। কিন্তু পরের মিনিটেই একই রকমভাবে সতীর্থের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে মিডফিল্ডার জং হায়োক গোল করে সমতায় ফেরান এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে (১-১)। ৩৭ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের পাসে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গতিপথ বদলে গেলে জীবন বল পেয়ে দারুণ শটে জড়িয়ে দেন জালে। ফের এগিয়ে যায় আবাহনী (২-১)। ৫৪ মিনিটে রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয়বার গোল হজম করে আবাহনী।এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে আবাহনীর বক্সে ঢুকে জোড়ালো শটে গোল করে সমতা আনেন অধিনায়ক রিম ছল মিন (২-২)। এর মাত্র দু’মিনিট পরই এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ যে গোলটি হজম করে সেটিও তাদের রক্ষণের ভুলে। টুটুল হোসেন বাদশার থ্রো থেকে বল ধরে এগিয়ে যান আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে। তার পেছনে ছুটতে থাকেন দুই ডিফেন্ডার। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে আবারো পিছিয়ে যান। সুযোগ বুঝে বল জালে ঠেলে দেন সানডে (৩-২)। মিনিট ছয়েক পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে বেলফোর্টের পাসে গোল করে দলকে আরো এগিয়ে নেন সানডে (৪-২)। ৭৭ মিনিটে জং হায়োকের ক্রসে হেডে পাক সং রক এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন (৩-৪)। কিন্তু ব্যবধান কমলেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি উত্তর কোরিয়ার দলটি। দু’দলের ফিরতি ম্যাচটি ২৮ আগষ্ট উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন