বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নে সংগঠিত একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬ জনই ডাকাত।
গতকাল দুপুরে বিএমপি সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, গত ১০ জুলাই রাতে বন্দর থানার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকাঠি গ্রামের জনৈক সৈয়দ মোস্তফা কামালের বাড়িতে ওই ডাকাতি সংগঠিত হয়। দুর্বৃত্তরা বাড়ির সকলকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কারসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব দেয়া হয় বিএমপির বন্দর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহেদ আহমেদ চৌধুরীকে।
বিএমপি কমিশনার আরও জানান, তদন্ত কর্মকর্তা শাহেদ চৌধুরী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের ছালাম হাওলাদার (৩৫), একই উপজেলার কাটাদিয়া গ্রামের মনির হাওলাদার (৩০), বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল শেখ (৪০), উজিরপুর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের মাসুম বেপারী (৩৫), ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা গ্রামের খলিল হাওলাদার (৩৫) ও মামুন বেপারী (৩০)।
গ্রেফতারকৃত ৬ জনের বিরুদ্ধেই বরিশাল রেঞ্জের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৬ ডাকাতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ক্রয়ের অভিযোগে ২ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ফরাজি মার্কেটের জুয়েলারি ব্যবসায়ী আশিষ কর্মকার (৩০) ও কর্মকারপট্টির হৃদয় জুয়েলার্সের মালিক অশেষ কর্মকার (৩৮)।
গ্রেফতারকৃতরা সকলেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ৩২ ইঞ্চি একটি এলইডি টেলিভিশন, ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল, ধারালো অস্ত্র, রেঞ্জ, স্ক্রু-ড্রাইভার, শাবল এবং একাধিক মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন