বেনাপোলে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রার আড়াই টনের চালান আটক করে চোরাকারবারিদের রোষানলে পড়েছেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। ভায়াগ্রার চালান আটকের পর ৪৩ টি শুল্ক পয়েন্টে তিনি রেড এলার্ট বার্তা পাঠানোর কারণে তাকে ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে ধেয়ার জন্য নানাভাবে হয়রানি করার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরী এশিয়ার বৃহত্তম আড়াই টন ভায়াগ্রার চালান আটক করায় ভায়াগ্রা গডফাদাররা তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। ভায়াগ্রার চালান আটকের পর ৪৩ টি শুল্ক পয়েন্টে তিনি রেড এলার্ট বার্তা পাঠানোর কারণে তাকে আবার নতুন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বার্তাটি ছিল যাতে অন্য কোন শুল্ক স্টেশন দিয়ে এ ধরনের মিথ্যা ঘোষণায় ভায়াগ্রা আমদানি করতে না পারে।
বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান জানান, ভায়াগ্রা গডফাদাররা তাদের ইচ্ছামতো তথ্য দিয়ে দেশের কিছু পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে কমিশনারের বিরুদ্ধে । গডফাদারদের সরবরাহকৃত ভুল তথ্য কিছু পত্রপত্রিকা গডফাদারদের এতই নিয়ন্ত্রণে যে প্রকাশিত সংবাদে বেলাল চৌধুরীর জন্মস্থান পাল্টে দিয়েছেন। অলৌকিক সন্তানও সৃষ্টি করছেন। প্রকাশিত সংবাদে বেলাল চৌধুরীকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে বেলাল চৌধুরীর বাড়ি বেগমগঞ্জে শরীফপুরে। প্রকাশিত সংবাদপত্রে অলৌকিকভাবে বেলাল চৌধুরীর মেয়েও আবিস্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরীর ছেলে-মেয়ে কানাডায় পড়াশুনা করছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেলাল চৌধুরীর কোন মেয়ে নেই তার দুই ছেলে ঢাকায় স্কুলে পড়ছেন। প্রকাশিত সংবাদে উলেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরীর শ্যালকের নামে সম্পদ রয়েছে কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার কোন শ্যালকই নাই।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরী একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক। কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে যে, বেলাল চৌধুরী যে ফ্ল্যাটে থাকেন তা তার স্ত্রীর নামে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ক্রয় করা। এই লোনটি এখনো বিদ্যমান। আরো জানা গেছে, বেলাল চৌধুরীর কোন ভাই-ই গার্মেন্টস ব্যবসা কিংবা চাকরিতে জড়িত নয়। ৮ আগস্ট দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানী ১৪ কোটি টাকা মূল্যের ভায়াগ্রা চালান আটক’র পরপরই এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভায়াগ্রার আটকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সেরা কামস্টস কর্মকর্তা বেলাল চৌধুরী। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর সরকার প্রশাসনের তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় আন্তঃদেশীয় তদবীর। কোটি কোটি টাকার লোভ লালসা কোন কিছুর কাছেই হার মানেননি তিনি। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিরমুখে না ফেলে দেশ ও মাতৃকার টানে তিনি ভায়াগ্রা গডফাদারদের ছাড় দেননি। এ বিশাল পরিমাণ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর ভায়াগ্রার গডফাদাররা বেলাল চৌধুরীকে হুমকী দিচ্ছে নানাভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
যশোর বাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে এক নতুন ইতিহাস। আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কমিশনার নিঃসন্দেহে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি।”
পেশাগত জীবনে লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে স্বমহিমায় যিনি আলো ছড়াচ্ছেন তাঁকে নিয়ে নোংরামি কার স্বার্থে? দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করতে ঝুঁকি নেয়ার ধাক্কা,এ আর নতুন কী?
কিছুদিন আগেও আড়ং এর অনৈতিক কর্মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অদৃশ্য শক্তি রোষানলে পড়েছিলেন ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নোয়াখালীর সন্তান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রিয় সফরে বিদেশে অবস্থানকালে মঞ্জুর শাহরিয়ারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে মঞ্জুর শাহরিয়ার বদলির আদেশ বাতিল হয়ে যায়।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন , বেলাল চৌধুরী একজন দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা তার সততা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাকে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশে বেলাল চৌধুরীর মত কিছু সংখ্যক সৎ সরকারি কর্মকর্তা আছে তারা নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিরাশ হয়ে একদিন হারিয়ে যাবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরী এই প্রতিবেদকে বলেন, সংবাদটি ৮ তারিখের পূর্বে প্রকাশিত হলে ভালো হতো। ভায়াগ্রা চালান আটকের পর তারা জানলেন আমার অটল সম্পদ। পত্রিকা বা সংবাদপত্র নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।
প্রকাশিত সংবাদে যা উলেখ করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের একভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ে এনবিআরের আওতাধীন কমিশনারদের পদোন্নতি এবং প্রমোশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। আমি দুর্নীতি করি না। কোন প্রকার অপপ্রচার হুমকি ধামকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।
বেলাল চৌধুরী উল্লেখ করেন আমার বিরুদ্ধে দুদুকে অভিযোগ নতুন নয়। আমি গডফাদারদের ইচ্ছায় না চলার কারণে তারা বারবার আমাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে। সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ, দুদকে অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। এ মহলের অভিযোগ দীর্ঘ তদন্ত সাপেক্ষে দুদক তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে ২০০৯ সালে আমাকে সম্পদ বিবরণী জারি করে সকল সম্পদ যাচাই করে বেনামী অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
তখনও প্রমাণিত হয়েছে আমার আয় বর্হিভূত কোন সম্পদ নাই। বেলাল চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, যতদিন বাঁচবো দেশ মাটি ও মানুষের পক্ষে কাজ করে যাবো। দেশবিরোধী কোন চক্রের ক্রীড়নকে পরিণত হবো না ইনশাল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন