বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সতর্ক পরিকল্পনায় তিন ধাপে সব করেছে মোদি সরকার

কাশ্মীরে গোরস্তানের নীরবতা-২

নিউ ইয়র্ক টাইমস | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পে গতকাল রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করে শরণার্থীরা -ইনকিলাব


এক বিশিষ্ট কাশ্মীরি ও আমেরিকান ফার্নিচার চেইন এথান অ্যালেন-এর প্রধান নির্বাহী ফারুক কাথওয়ারি প্রশ্ন করেন, সেখানে বিনিয়োগ করবে কে? তিনি বলেন, ভারতের নিরাপত্তা কর্মীরা যে ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন তা মানুষের সম্মানকে ভুলুন্ঠিত করেছে। তারা কাশ্মীরিদের মনে ক্রোধের আগুন জে¦লেছে এবং এই ক্রোধ তাদের দিয়ে সব কিছু করাবে।

গত ৫ আগস্ট থেকে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মিয়া কাইয়ুম, কাশ্মীর অর্থনৈতিক জোটের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন খান, দুর্নীতি বিরোধী যোদ্ধা রাজা মুজাফ্ফর ভাট, ট্রাক্টর চালক ফায়েজ আহমদ মীর এবং কাশ্মীরের প্রথম নির্বাচিত মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। শাহ ফয়সাল নামে একজন রাজনীতিককে নয়াদিল্লি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার ব্যাগগুলো পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছিল। হাতে ছিল বোর্ডিং পাস। তিনি হার্ভার্ড বিশ^বিদ্যালয়ে ফেলোশিপ করতে যাচ্ছিলেন। আরো কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনীতিককে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন পত্রিকাকে জানান যে তাদেরকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কাশ্মীরি আইনজীবী জাফর শাহ বলেন, এসব গ্রেফতার ও আটকাদেশ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। ধনাঢ্য ববসায়ী ৬৩ বছর বয়স্ক মুবিন শাহর গ্রেফতারের ঘটনায় তার স্ত্রী এখন পর্যন্ত হতবুদ্ধি হয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, মুবিন শাহ ছিলেন নিছকই ব্যবসায়ী। তিনি কাশ্মীরি দুর্লভ শিল্পসামগ্রী ও কার্পেটের ব্যবসা করতেন। তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাশ্মীরে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে উৎসাহিত করতেন যা মোদি সরকারও চায়। তার স্ত্রী বলেন, কিছু কাশ্মীরি পুলিশ অফিসার তাকে গ্রেফতার করতে অনাগ্রহী ছিল। কিন্তু তাদের পিছনে ছিলেন কয়েক ডজন ভারি অস্ত্রসজ্জিত কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা।

বিশ্লেষকরা বলেন, কাশ্মীরে মোদি সরকার সবই করেছে সতর্ক পরিকল্পনায় ও তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করা হয় ২০১৮ সালে। বিজেপির কাশ্মীর শাখা একতরফা ভাবে কাশ্মীরের জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসে। ফলে কাশ্মীরের শীর্ষ দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। তার অর্থ এই যে কেন্দ্র সরকারের লোক রাজ্যের গভর্নর রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। কাশ্মীরের রাজনীতিকরা নার্ভাস হয়ে পড়তে শুরু করলেন। তাদের মনে আশঙ্কা দেখা দেয় যে মোদি সংবিধানের ৩৭০ ধারা পরিবর্তনের চক্রান্ত করছেন। যাতে কাশ্মীরকে বিশেষ ভূমি অধিকার এবং নিজস্ব আইন প্রণয়নের জন্য সুষ্ঠু স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এই ধারা বাতিল করা ছিল মোদির নির্বাচনী অঙ্গীকার।

৩৭০ ধারায় বলা হয়েছে যে কাশ্মীরের মর্যাদার কোনো পরিবর্তন করতে হলে কাশ্মীরের জন প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে তা করতে হবে। কিন্তু কাশ্মীরের রাজনীতিকরা জানতেন যে একজন গভর্নর কর্তৃক যদি অব্যাহত ভাবে রাজ্য শাসিত হয়। রাজ্য বিধান সভা না থাকে। তাহলে জনপ্রতিনিধিদের ছাড়াই মোদির পরিবর্তনের কাজটি করে ফেলার ঝুঁঁকি রয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি গভর্নরের কাছে একটি ফ্যাক্স পাঠান। এতে তিনি বলেন যে তার পর্যাপ্ত মিত্র আছে এবং তিনি নয়া সরকার গঠনে প্রস্তুত। এটা তিনি সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করেন। কিন্তু গভর্নর অকস্মাৎ রাজ্য বিধান সভা ভেঙে দেন। এটা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। গভর্নর বলেন যে তিনি মেহবুবার ফ্যাক্স পাননি। তিনি নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানান। এটা তৃতীয় পদক্ষেপের সূচনা করে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।

একজন ভারতীয় কর্মকর্তা হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিযুক্ত অভিজ্ঞ আমলাদের একটি টিম জুন মাসের দিকে কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, কিন্তু বিজেপি বিধায়করা মনে হয় নির্বাচন বন্ধ করতে চাইছিলেন। তারা কিছু অদ্ভুত যুক্তি হাজির করলেন। তারা বললেন যে জুনে নির্বাচন হলে জঙ্গিরা গ্রীষ্মকালের লম্বা ঘাসের মধ্যে আশ্রয় নিতে পারে। তাই নির্বাচন নভেম্বরে হলে ভালো হবে। তখন নির্বাচন কমিশন বছরের শেষ পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারণ না করে নির্বাচন স্থগিত করে।

ফলে গত ৫ আগস্ট মোদি যখন কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করেন তখন বিধান সভা কার্যকর ছিল না। তার সরকার দাবি করে যে বিধান সভার অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য শাসনের ক্ষমতা রাখে। নয়াদিল্লীর এক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যাপিমন জ্যাকব বলেন, ক্ষমতার সুবিধা পাওয়ার জন্য সরকার আরো কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করে। এটা ঠিক যে নির্বাচনের মাধ্যমে যা করা যায় সাধারণ ভাবে তা করা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ পদক্ষেপ ছিল সব বন্ধ করে দেয়া। গত ৫ আগস্ট মধ্যরাতের সামান্য আগে কশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট ও ফোন সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করে দেয়। হাজার হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা অফিসারকে সক্রিয় করে।

তাদের কয়েক ডজন মুবিন শাহকে আটক করে অন্যরা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করতে উপত্যকার ঘরে ঘরে গিয়ে হানা দেয়। কমপক্ষে ২০ জন ভাটের বাড়িতে হাজির হয় বলে তার পরিবার জানায়। তারা আরো জানান যে এর আগে কখনো তিনি গ্রেফতার হননি, এমনকি এক ঘণ্টার জন্যও নয়।

ভাটের স্ত্রী ফিরোজা কায়সারকে তার গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, কোনো কারণ তাদের জানানো হয়নি। কাশ্মীরী পুলিশ বলেছে, তারা গ্রেফতারের কারণ জানে না। আদেশের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সরকার হয়ত জন সুরক্ষা আইন ব্যবহার করতে পারে। এ আইনে কাউকে রাষ্ট্রের প্রতি হুমকি মনে করলে সরকার কোনো অভিযোগ না এনেই যে কাউকে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রেও আইন আছে। একটি উপদেষ্টা বোর্ড বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।

মুবিন শাহকে আটক করার কয়েকদিন পর তার বড় ভাই শ্রীনগরের একটি জেলে তার সন্ধান পান। তিনি তার সাথে দেখা করেন। পরদিন সকালে তিনি কিছু কাপড়-চোপড় নিয়ে যান তাকে দেয়ার জন্য। কিন্তু জেলখানার রক্ষীরা জানায় যে একটি সামরিক বিমানে করে মুবিন শাহকে আগ্রায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। (শেষ)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Omar Bin Shaheen ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
আল্লাহ তুমি মোদি কে নিরভ করে দাও...
Total Reply(0)
Abul Bashar Mohammed Moniruddin ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
কাশ্মীরে রাজনাথ সিং, অমিত শাহ্, নরেন্দ্র মোদীর আচরণ অবশ্যই ‘বর্বরোচিত’। বার্মার বর্বর অং সাং সুকী , ইসরায়েলের বর্বর নেতানিয়াহু ও ভারতের বর্বর নরেন্দ্র মোদী অভিন্ন ধাঁচের অমানুষ ও নেকড়ে হায়েনা।
Total Reply(0)
Abduz Zaher ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
বিমানেই রাহুল গাঁধীকে দেখে দুঃখে ফেটে পড়লেন এক মহিলা। চোখ ভরা জল নিয়ে বললেন, ‘‘আমার ভাই অসুস্থ। হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা। দশ দিন ধরে জানিনা, ও কেমন আছে? ওর ছোট ছোট বাচ্চা আছে। অনেক দিন ধরে চোখের দেখা দেখতে পারিনি।’’ শ্রীনগর থেকে দিল্লিতে ফিরতি বিমানের ঘটনা। বিমান ওড়ার পরে ধারের আসনে চলে আসেন রাহুল। একে একে কথা বলেন অন্য যাত্রীদের সঙ্গে। তাঁদের কথা শুনে বুঝতে পারেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়। আজ সকালেই ন’টি দলের ১২ জন নেতাকে নিয়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগর রওনা দেন রাহুল। যে দলে রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কে সি বেণুগোপালের পাশাপাশি সীতারাম ইয়েচুরি, দীনেশ ত্রিবেদী, শরদ যাদব, মনোজ ঝায়ের মতো বিরোধী নেতারা ছিলেন। সঙ্গী হয় সাংবাদিকদের একটি দলও।
Total Reply(0)
Jewel Haque ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে দেখলাম কাশ্মীরের পুরুষ ,মহিলা এবং অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে যা খুব দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক।
Total Reply(0)
Md Sharif Khan ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে অশান্তির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
Total Reply(0)
Ochena Tumi ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
কাগজ কলমে পৃথিবীর বৃহৎ এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত।কিন্তু কাশ্মীরের বেলায় গণতন্ত্রের কোন বালাই নেই। এখানে বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ। কাশ্মীর যেন খাঁচায় বন্দী কোন পাখি। ভারতের যে শত বছরের অর্জিত নানান ধর্মের সম্প্রতি ও সুনাম তা গুগলের চিহ্নিত দশ নম্বর গুন্ডা মোদী বিনষ্ট করে দিয়েছে।যেখানে এখন মানুষের জীবনের থেকে পশুর মূল্য বেশি। কিন্তু কথা হলো মানব ধর্ম বড়। পৃথিবীটা এখন কিছু মূর্খ, বিবেক বহির্ভূত, অকালকুষ্মাণ্ড শাসক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে যাদের কিছুর আক্ষরিক জ্ঞান তো দূরে থাক বাস্তবিক জ্ঞান ও নেই। এরকম শাসকরা না যতটুকু ভয়ের তার থেকে বেশি ভয়ের হলো নিজ দেশে এদের কড়া সমর্থকের সংখ্যা। দিনদিন মানুষের মাঝ থেকে ন্যায় বোধ উঠে যাচ্ছে। ধর্ম সংক্রান্ত গোঁড়ামি একটা নিদিষ্ট জায়গা করে নিচ্ছে তাদের কাজ কর্মে।
Total Reply(0)
রাফিউল রউফ ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ভারতীয়রা কাশ্মীরের স্বাধীনতায় নারাজ কেন? প্রশ্ন রেখেছেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়
Total Reply(0)
Mayen Uddin ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
কাশ্মীরের মানুষ যুগ যুগ ধরে তারা তাদের ভূখণ্ডের স্বাধীনতা চেয়ে আসছে। সবকিছুর একটা শেষ আছে । ভারতের উচিত শান্তিপূর্ণ সমাধানে যাওয়া ।
Total Reply(0)
কে ইউ রায়হান ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
১৯৪৭-১৯৭১ পাকিস্তানীরা আমাদের উপর যা করেছে, ৭০ বছর ধরে ভারতীয়রা কাশ্মিরীদের উপর তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশী জুলুম করে যাচ্ছে. ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতীয়রা কাশ্মীরকে জুলুমের এক কসাইখানা বানিয়ে ফেলেছে. তখন আমাদের যেই অবস্থা ছিল, এখন কাশ্মীরিদের তারচেয়ে খারাপ অবস্থা. শুধু তাই নয় ১৯৭১-২০১৯, BSF বাংলাদেশ সীমান্তে হাজার হাজার বাংলাদেশীদের হত্যা করেছে......এবং করছে ......। ৭১ সালে পাকিস্তানীরা আমাদের উপর জুলুম করেছিল, ভারত আমাদের স্বাধীনতার পক্ষ নিয়েছিল আর এখন ভারত কাশ্মীরিদের উপর জুলুম করছে, পাকিস্তান তাদের পক্ষ নিয়েছে। তাই কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্বার্থে আমরা অবশ্য'ই কাশ্মীরের পক্ষে আর এটাই হবে ন্যায়সঙ্গত। আমাদের যদি স্বাধীনতার অধিকার থাকে তাহলে কাশ্মীরিদের কেন স্বাধীনতার অধিকার থাকবে না.......??? তাই আমি ভারত, পাকিস্তান, চীনের দখলে থাকা বিশাল কাশ্মীর নিয়ে আলাদা স্বাধীন কাশ্মীরের পক্ষে.....। আশাকরি আমরা সব বাংলাদেশীও কাশ্মীরি ভাইদের পক্ষে।
Total Reply(1)
ABDULM PATWARY ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ৩:০৪ এএম says : 4
I FULLY SUPPORT THE IDEA

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন