ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের মাঠে নির্মিত হবে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ কামালের নামে ক্রীড়া কমপ্লেক্স। খুব শিঘ্রই শুরু হবে শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। এখানে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনকে কিছুটা হলেও জায়গা দেয়া হবে ব্যান্ড স্কেপিংয়ের জন্য। তথ্যটি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং আবাহনী লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, এমপি। তিনি বলেন,‘আবাহনী লিমিটেডের মাঠে নির্মানাধীণ শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বড় না হলেও ছোট আকারে ব্যান্ড স্কেপিংয়ের জন্য কিছুটা জায়গা দেয়ার চেষ্টা করবো আমরা। তবে যদি শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সম্ভব না হয় তাহলে দোহার-নবাবগঞ্জে অবশ্যই একটি জায়গা দিতে পারবো।’ আসন্ন পঞ্চম রোলবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন সালমান এফ রহমান। এ সময় বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান সহ ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১২ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম রোলবল বিশ্বকাপ। এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ৮০ জন পুরুষ ও নারী স্কেটারদের নিয়ে এতদিন অনাবাসিক ক্যাম্প করেছে ফেডারেশন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬০ জনকে নিয়ে শুরু হবে আবাসিক ক্যাম্প। সাতদিন পর বাছাইয়ের মাধ্যমে স্কেটারের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে ৪০ জনে। এখান থেকে ১৫ জন করে ৩০ জন পুরুষ ও নারী স্কেটার বাছাই করা হবে চূড়ান্ত জাতীয় দলের জন্য।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ‘আগে এই খেলাটির সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল না। এখানে এসে খেলাটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হলাম। ঠিক মতো অনুশীলন করতে পারলে আশাকরি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে আনতে পারবে বাংলাদেশ।’
ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে রোলার স্কেটিং। এর আগেও আমরা বাংলাদেশে ৬৮ দেশের স্কেটারদের অংশ গ্রহনে রোলবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছি। এবার ছেলে মেয়েরা খেলতে যাচ্ছে। আশাকরি ভালো ফল বয়ে আনবে। রোলার স্কেটিংকে আমি অনেক উঁচুতে দেখতে চাই।’ সাধারন সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ক্রমবর্ধমানহারে বাড়ছে রোলার স্কেটারের সংখ্যা। আমরা দেশব্যাপী গণজাগরন তৈরী করার চেষ্টা করছি। আবাসিক ক্যাম্পে ছেলে মেয়েরা পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পাবে। আশাকরি বিশ্বকাপ থেকে আমরা ভাল ফল বয়ে আনতে পারবো।’ এরপর উপস্থিত শ’তিনকে স্কেটাররা স্পিড স্কেটিং এবং রোপ স্কেটিং পরিবেশন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন