যাত্রীদের জিম্মি করে কোনো ধর্মঘট করা যাবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান।
তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের ধর্মঘট যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ায়। কাউকে জিম্মি করে ধর্মঘট করা যাবে না। সরকার পরিবহন সেক্টরকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সকল বিষয় মনিটরিং করছে। অনেক গাড়ির মালিক আছে যারা এক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ৩-৪টি গাড়ি চালাচ্ছেন। এসব অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ নিরাপদ সড়ক করতে এখন হার্ড লাইনে রয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা মোটর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমাতে হবে। সড়কে অবৈধভাবে চাঁদা না তোলাসহ পুলিশি হয়রানি বন্ধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভাঙা সড়ককে চাঙা করতে ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, সড়ক উন্নয়নে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হয়রানি বন্ধ না করা, গাড়ির মালিকদের নিকট থেকে চালকদের নিয়োগপত্র প্রদান, দূরপাল্লার চলাচলে সড়কে বিশ্রামের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (অব.) মেজর জেনারেল হেলাল মোরশেদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজু, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ, ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজার রহমান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।
সভায় ঢাকা, বগুড়া, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকৃত গাড়ির চালক ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডের কাউন্টার ব্যবস্থাপকরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন