শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ডিএসসিসির ৩ হাজার ৬৩১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য তিন হাজার ৬৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বাজেট ঘোষণা করেন ডিএসসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এছাড়াও গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তিন হাজার ৫৯৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছিল ডিএসসিসি। এর মধ্যে এক হাজার ৯০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। 

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর প্রকল্প থেকে দুই হাজার ৪৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আর অন্যান্য আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এবারের বাজেটে মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। পরিচালনা ব্যয় ৬২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাজেটে রাজস্ব খাতে আয়ের বড় অংশ ধরা হয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স ৩৫০ কোটি টাকা। বাজার সালামি থেকে ৩১০ কোটি, ট্রেড লাইসেন্স থেকে ৯০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে আয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ বাজেটে কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
নতুন বাজেট সম্পর্কে মেয়র বলেন, ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের জন্য আমার সমবেদনা। তিনি বলেন, যানজট নিরসন, বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন, কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর, বঙ্গবন্ধু জলবায়ু উদ্বাস্তু আশ্রয় কেন্দ্র, বিনামূল্যে দাফনের ব্যবস্থা, জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠান, জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিগত চার বছরে আমরা যা করেছি, তা কয়েক দশকেও হয়নি। শতভাগ এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে।
এদিকে মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। বরাদ্দ ব্যয়ের হিসাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে মশক খাত। অন্য তিন শীর্ষ খাত হচ্ছে কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য (৩৫০ কোটি), বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাসের খরচ (৭৯ কোটি) এবং কল্যাণমূলক ব্যয় ৪৪.৪০ কোটি।
মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মশার ওষুধে জ্বালানিসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। কচুরিপানা বা আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর সবশেষ ফগার মেশিন, হুইল ও স্প্রে মেশিন পরিবহনে বরাদ্দ ব্যয় রাখা হয়েছে চার কোটি টাকা। প্রতিটি খাতেই বরাদ্দ গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই খাতে আমরা আগের যেকোনো বারের তুলনায় বেশি বরাদ্দ দিয়েছি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের টার্গেট করে ইতোমধ্যে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন ভবন, স্থাপনা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত যাচ্ছে এবং যেখানে অসঙ্গতি দেখছে সেখানে জরিমানা ও জেল দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োাজনে এই খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা খাদেমুল করিম ইকবাল প্রমুখ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন