রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ বন্ধ করতে হবে

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আবু নোমান
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একজোটে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাতেই ১২ জুন পালিত হয় ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’। বিভিন্ন ছোট-বড় কলকারখায় শিশুরা অমানবিক শ্রম দেয়া ছাড়াও তাদের ওপর নানা নির্যাতন চালানো হয়। শিশুরা ঝালাই ও ঢালাই কারখানা, রি-রোলিং মিলের লোহা গলানোর কাজে, এমনকি জ্বলন্ত বয়লারের পাশে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে। সুযোগ ও সচেতনতার অভাবে সরকারি স্বাস্থ্য পরিসেবার চিকিৎসা সেবাও এরা পায় না। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা নানা ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। অদক্ষ বলে তাদের উপর চলে অকথ্য নিপীড়ন। সামান্যতম অমনযোগের অভিযোগে মারপিট ও অত্যাচার এতটাই নির্মম হয়, কখনো কখনো তা মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
একটি শিশুকে আদর্শ নাগরিক ও জাতির কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে বড়দের রয়েছে নানা দায়-দায়িত্ব। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না শিশুদেরও অপমানবোধ ও সম্মানবোধ আছে। শিশুদের প্রতিটি অধিকার সুনিশ্চিত করাসহ তাদের স্কুলে যাওয়া ও মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তাদের সুস্থ বিনোদনসহ খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। একটি শিশুও যেন ঝরে পড়ে না, রাস্তায় ঘুরে না বেড়ায়। শিশুদের খাদ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা দেয়া সকলের দায়িত্ব। প্রতিটি শিশুর মাঝে রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। এমনকি অবহেলিত পথশিশুদের পরিচর্যা করলে তারাও বনসাই থেকে বটবৃক্ষে পরিণত হবে। জাগতিক ও পারলৌকিক উভয় জগতের উন্নতি, অগ্রগতি ও সফলতার জন্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা অবশ্যই হতে হবে নৈতিকতাসম্বলিত আধুনিক ও আদর্শভিত্তিক।
আমাদের সমাজে শিশুদের বড় একটি অংশ এখনও বঞ্চিত তাদের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে। বেঁচে থাকার তাগিদে দেশের শিশুরা বই-খাতার পরিবর্তে বেছে নিচ্ছে নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। শিশুরা যখন তাদের সোনালি জগতের বাইরে অন্য জগতে প্রবেশ করে, বেঁচে থাকার রসদ জোগান দেয়, তখন তাদের শারীরিক, মানসিক, আবেগিক ও নৈতিকতার অবনতি ঘটতে থাকে। বিভিন্ন দৈহিক সমস্যা তাদের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। এতে তাদের মানসিক বুদ্ধি লোপ পায়, ইচ্ছার বিপর্যয় ঘটে এবং ইচ্ছাশক্তি অবদমিত হয়ে যায়।
কবির ভাষায়- ‘ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে/ ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’। মানব জীবনের সূচনালগ্নে একজন মানুষকে শিশু বলা হয়। আমরা প্রত্যেকে এক সময় শিশু ছিলাম। শিশু-কিশোর, পথশিশু বলতে আমরা বুঝি বয়সের স্বল্পতার কারণে যাদের দেহ, মন ও মগজ পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়নি। আজ যারা ছোট, কাল তারা হবে বড়। ভবিষ্যতে তারাই হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্ণধার। আজকের শিশুদের মধ্যেই সুপ্ত আছে ভবিষ্যতের কত কবি, শিল্পী, বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক ইত্যাদি। মানব সন্তানের শৈশব হল কাদা মাটির ন্যায়, শৈশবে তাকে যেমন ইচ্ছা তেমন গড়ে তোলা যায়। স্থায়িত্ব ও প্রভাব বিস্তারের দিক থেকেও শৈশবকালীন শিক্ষা মানব জীবনে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে। শৈশবকালীন শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, ‘শৈশবে বিদ্যার্শন (স্থায়িত্বের দিক থেকে) পাথরে খোদাই করা ভাস্কর্যের ন্যায়।’
মানুষের জীবনের শুরুর লগ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুকালে যে শিক্ষা বা যে দীক্ষা প্রদান করা হয়, সেটাই তার জীবনে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে। ইসলাম মানুষের শিশুকালকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে এবং প্রতিটি শিশুকে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে লালন-পালনের জোর নির্দেশ দিয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের সন্তানদের উত্তমরূপে জ্ঞান দান করো, কেননা তারা তোমাদের পরবর্তী যুগের জন্য সৃষ্ট’ (মুসলিম)। ‘তোমরা শিশুদের স্নেহ করো, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো এবং সদাচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা দাও’ (তিরমিজি)। প্রিয় নবী (সা.) শিশুদের কলিজার টুকরা, জান্নাতের প্রজাপতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমাদের শিশুদের প্রতি দয়া-স্নেহ করে না সে আমাদের মধ্যে গণ্য নয়’ (বুখারি)। হযরত ওমর (রা.)-এর মতে, শিশু অধিকার শিশু জন্মের পূর্ব থেকেই শুরু হয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও’র) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রতি ৬ জন শিশুর মধ্যে ১জন শ্রমিক এবং প্রতি ৩ শিশু শ্রমিকের মধ্যে ২জনই গৃহকর্মের সাথে যুক্ত। অথচ বেশিরভাগ দেশেই গৃহকর্মী এ সকল শিশুদের সুরক্ষায় তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবারই এদের ভাগ্যে জোটে। থাকতে হয় বারান্দা অথবা রান্নাঘরে। ছুটি না থাকলেও রয়েছে শারীরিক নির্যাতন। এসব নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন ইত্যাদি
বিশ্বে প্রায় ২৪ কোটি ৬০ লাখ শিশু নানাভাবে শ্রম বিক্রি করছে। তার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে ১৮ কোটি। আইএলও’র হিসাবে যে সংখ্যা দেয়া হয়, বাস্তবে তার সংখ্যা আরও বেশি। প্রতিবছরই ক্যালেন্ডার ধরে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ দিনটি আসে, চলেও যায়। বছরে একবার শিশুশ্রম নির্মূল করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা আঙ্গিকে আলোচনা হয়। তারপর যেমন চলার, চলে তেমনই। শিশুশ্রম বিরোধী আইন কার্যকরী করার ঘাটতিও আছে ষোলো আনায়। সংশ্লিষ্টদের সীমাহীন উদাসীনতায় শুধু সেমিনার আর গোলটেবিল বৈঠকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। বিভিন্ন এনজিও শিশুদের কথা বলে বিদেশ থেকে যে ফান্ড কালেকশান করে সেগুলোর কতটুকু শিশুদের জন্য ব্যয় হয়?
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ শিশু শ্রম দিচ্ছে শুধু খাদ্যের বিনিময়ে। আইএলও’র প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বেশিরভাগ শিশুই এমন অবস্থায় কাজ করছে যা ‘ক্রীতদাসের কাছাকাছি’। এতে বলা হয়েছে, কর্মরত বেশিরভাগ শিশু শ্রমিকের বয়সই ৮ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে এবং এদের ৭১% শতাংশ মেয়ে শিশু। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ সমস্ত শিশু শারিরীক এবং যৌন সহিংসতার ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এমনকি তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও বিক্রি করা হয় বলে বিভিন্ন খবরে প্রকাশ।
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী একটি শিশুকেও তার জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন প্রকার শ্রমে নিয়োজিত করার কথা নয়। বাংলাদেশের শ্রম অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৪৯ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। বাস্তবে তার সংখ্যা ৫২ লাখের উপরে। আইএলও’র এক সমীক্ষায় ৭০৯টি ফ্যাক্টরির মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, মোট ৯ হাজার ১৯৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪১.৫ ভাগ অর্থাৎ ৩৮২০ শিশু। এই শিশু শ্রমিকদের অধিকাংশেরই বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই মানা হচ্ছে না শ্রমআইন। শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আইন করা হলেও তার যথার্থ প্রয়োগ নেই। ফলে আইন অমান্য করে মালিকপক্ষ অত্যন্ত কম বেতনে শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে। শিশু শ্রমের ওপর বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, ৪৫ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৪১ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ। শুধু মাত্র একবেলা খাবার জোগাড় করতে শিশুরা দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে।
অনেক কর্মসূচি ও প্রচারণার পরও বিশ্বে বিশেষ করে আমাদের দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর শিশুশ্রম বন্ধ হয়নি। বরং দারিদ্র্যতার কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে পাঠাচ্ছে তাদের শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। রাজধানী ঢাকার লালবাগ, হাজারীবাগ, নবাবগঞ্জ, সূত্রাপুর, কেরানীগঞ্জ, জিঞ্জিরা, মগবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। সে সব শিশুশ্রমিকরা ম্যাচ, বিড়ি, প্লাস্টিক, গ্লাস, চামড়াসহ বিভিন্ন কারখানা ও ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে রসায়নিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আবার অতি কম পারিশ্রমিকে শিশুশ্রমিকরা দিনে ১০-১২ ঘণ্টার উপরে কাজ করার পর সেসব কারখানাতেই শুয়ে পরে। ফলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরো বেড়ে চলছে। এ অবস্থা থেকে শিশুদেরকে রক্ষা করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও দরিদ্র পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
মানুষ আজ লোভী পশুদের মতোই মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষের অর্থলালসার রাজ্যে শিশুদেরও মুক্তি নেই। ইসলামী দৃষ্টিতে শৈশব হচ্ছে সৌন্দর্য, আনন্দ ও ভালোবাসার পরিপূর্ণ এক চমৎকার জগৎ। সন্তানকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যের ঘোষণা পবিত্র কোরআনে এসেছে ‘ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি হচ্ছে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য বিশেষ’ (সূরা কাহাফ)। অথচ আমাদের সেই শিশুরা এখনো লেদ মেশিন ও ট্যানারির মতো ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে কাজ করছে যা তাদের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল রোগে। আইএলওর ভাষ্য মতে, শিশুদের এ ধরনের কাজ করার সময় যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়, তার সঙ্গে তুলনা চলে শুধুমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রের সৈনিকের। যে সীসা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ, সেই সীসা, তামা, চামড়া কারখানার কেমিক্যাল, বিষাক্ত রি-এজেন্ট, লোহার ঢালাইয়ের গনগনে আগুনে এদের সুন্দর মুখ কালো হয়ে ওঠে। এছাড়াও পাথর ও জাহাজ ভাঙা, বিড়ি শিল্প, ব্যাটারি তৈরির কারখানা, কাঁচ বা গ্লাস ফ্যাক্টরি, ইট-পাথর ভাঙা, মোটরগাড়ি মেরামত, নির্মাণকাজ, পতিতাবৃত্তিসহ ৪৭টি কাজ দেখিয়েছে ইউনিসেফ। বিড়ি তৈরির কাজ শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এ কাজে তাদের শ্বাসকষ্ট, মাথা ও বুকে ব্যথা, বমি বমি ভাব, যক্ষ্মা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, চর্মরোগ এমনকি মারাত্মক ক্যান্সারেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের প্রতিটি কাজ ইসলামে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকার চায় শিশুশ্রম দূর করতে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিও বিবেচনা করতে হবে। একটি জরিপে এসেছে, এসব শিশুশ্রমিকের প্রায় ৫০ ভাগ শিশু তাদের পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস। যেখানে খাবারই জোটে না, সেখানে তাকে শ্রম থেকে বিরত রাখা যায় কিভাবে? শিশু শ্রমিকদের অভিভাবকদের বাড়ি নেই, তাদের জায়গা-জমি নেই, এসব শিশুর কাজের সুযোগ না থাকলে পথে পথে ঘুরত, না খেয়ে থাকত। বখাটে হয়ে নেশা করে ঘুরে বেড়াত। তবে এটা সত্য, হঠাৎ শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। শিশুদের কেউ জোর করে কাজে নিয়োগ দেয় না। দরিদ্র বাবা-মা সংসারের ব্যয় নির্বাহে অসমর্থ হয়ে বা তাদের কর্মহীনতার কারণে মা-বাবার স্থলে শিশুরা অর্থ উপার্জনে অগ্রসর হয়। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য এ যেন এক অনিবার্য পরিণতি। এক অনিশ্চিত যাত্রা যে পথ বড়ই কঠিন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব শিশু যোগ্য উপার্জনক্ষম সদস্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করে।
আজ অভাবের তাড়নায় এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে শিশুদের কাজ করতে দেখা যাবে না। চরম দারিদ্র্যই এর মূল কারণ। বাস্তবতার নিরিখে শিশুশ্রম পুরোপুরি বন্ধ করা না গেলেও একে সহনীয় পর্যায়ে রেখে মজুরি ও শ্রমঘণ্টা নির্ধারণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ পেশায় তাদের নিয়োগ করা যেতে পারে। পাশাপাশি কাজ করার পর নিরবচ্ছিন্নভাবে অবসর ও বিশ্রামসহ খেলাধুলা, বিনোদন ও পড়াশোনার সুযোগও রাখতে হবে। দারিদ্র্যের কারণে শ্রম বিক্রি করতে যাওয়া শিশুদের জানাতে ও বোঝাতে হবে যে তাদের দারিদ্র্য দূর করার মোক্ষম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করাটাই তাদের জন্য বেশি জরুরি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন