লাতিন আমেরিকার আটটি দেশব্যাপী বিস্তৃত ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলে পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজন। এ বনের সবচেয়ে বড় অংশ ব্রাজিলের মধ্যে পড়লেও এরই মাঝে সেখানে চলমান দাবানল সীমান্ত অতিক্রম করে বলিভিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত দেশটির ৪২ লাখ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ প্রদেশের সুরক্ষিত প্রাকৃতিক এলাকা ও বনভূমি। এখানকার বিশাল এলাকাজুড়ে কেবল ভস্মীভূত গাছপালা ও ছাই পড়ে আছে। পাওয়া যাচ্ছে আগুনে পোড়া পশু-পাখিও। বাকিরা খাবার ও পানির সন্ধানে মরিয়া হয়ে ঘুরছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদধ্যম।
গত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সান্তা ক্রুজের পরিবেশ বিষয়ক সেক্রেটারি সিনথিয়া আসিন এ দাবানলকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা এ দাবানলকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাগিদ দিচ্ছি। এতে আমরা জীববৈচিত্র্যের বিশাল একটা ভাÐার হারিয়ে ফেলছি। কারণ এ বন পানিরও এক বিশাল উৎস।
আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিনথিয়া জানান, দাবানল মোকাবিলায় হাজার হাজার দমকল কর্মী, বনরক্ষী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী মানুয়েল ক্যানেলাস জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক বা কারিগরী কোনো দিক দিয়েই দাবানল মোকাবিলায় বলিভিয়ার খামতি নেই যে একে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করতে হবে।
এরই মাঝে দাবানল নিয়ন্ত্রণে বলিভিয়া সরকার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বোয়িং প্লেন ভাড়া করেছে। তা বাদেও ভাড়া করা হয়েছে তুলনামূলক ছোট আরও একটি প্লেন বহর। এছাড়া আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ আর্জেন্টিনা দমকল বাহিনী, পেরু হেলিকপ্টার ও যুক্তরাষ্ট্র দরকারি বিভিন্ন সরঞ্জামসহ দুই হাজার দমকল কর্মী পাঠিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন