শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্রেসিডেন্ট যদি নির্দেশ দেন তবে সরে যাবো : জাবি ভিসি

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৬ এএম

কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা শেষ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা ১ অক্টোবরের মধ্যে ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবি ও আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সকল পরীক্ষাকেন্দ্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রেসিডেন্ট যদি নির্দেশ দেন তবে সরে যাবো। যদি আমাকে নির্দেশ না দেন তবে আন্দোলনকারীদের গালমন্দ খেয়েও থেকে যাবো।’

তিনি বলেন, তাদের আন্দোলন হয়তো আরও দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো।

দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জীবনে ৫০০ টাকার বেশি ঈদ সেলামি পাইনি। এতো (অভিযোগ ওঠা দুই কোটি) টাকা আমি দেব কোথা থেকে? আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী আমি ইউজিসি এবং প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তাছাড়া আমি কি পারি আর কি পারি না সেটা অধ্যাদেশে বলা আছে। সেখানে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা নেই। এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে আলোচনা শুরু হয়ে চলে সাড়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, জাবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। গেল ১ মে ছয়টি হলের টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। কাজের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে টেন্ডার শিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঈদের আগে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ‘ঈদ সেলামি’ দেয়ার অভিযোগ ওঠলে তা সুষ্ঠু তদন্তের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। গত ১২ সেপ্টেম্বর আলোচনায় দুটি দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অপর দাবি ‘তদন্ত কমিটি গঠন’ নিয়ে বুধবার এই আলোচনায় বসে প্রশাসন ও আন্দোলনকারীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন