শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জাবিতে ভিসি অপসারণ দাবিতে ফের বিক্ষোভ

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৪০ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হক রনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের মেগাপ্রজেক্টে দুর্নীতির ঘটনায় সরকার মুখে যে নির্লিপ্ততার কুলুপ এটেছে তার ধারা অব্যাহত থাকলে এই প্রশ্ন অবধারিতভাবেই সামনে আসে যে, ফারজানা ইসলাম যা করেছেন তা করবার জন্যেই তাকে এই পদে বসানো হয়েছে কিনা। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি হামলাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্থ এই ব্যক্তিকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছে।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রশীদ মুন গাজী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসে পড়াশোনা করতে দিনের পর দিন আন্দোলন করতে নয় । এটা খুবই দুঃখজনক যে সরকারের কাছে আমরা তদন্তের সকল প্রমাণ দেয়ার পরও সেটার কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা আশা করব সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে এর দ্রুত সুরাহা করবে।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আরমানুল ইসলাম খান বলেন, ‘আন্দোলনের একটা সময় যখন আমরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করি তখন সেখানে আমাদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়েছিল। এখনও সেটার কোনও বিচার হয়নি। রাষ্ট্র যখন দেখেছে জাহাঙ্গীরনগরে দুর্নীতি হয়েছে তখন বলেছে আমাদের কাছে এ বিষয়ে খবর এসেছে, আমরা দুর্নীতির তদন্ত করব, কিন্তু রাষ্ট্র এখনও চুপ আছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। আমরা চাই সরকারের জিরো টলারেন্স যেন জাহাঙ্গীরনগরে এসে থমকে না দাঁড়ায়।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা সবাই জানে। তাছাড়া দুর্নীতির তদন্তের জন্য আমরা যথেষ্ঠ প্রমাণ উপস্থাপন করেছি কিন্তু সরকার সেখানে তদন্ত না করে নিশ্চুপ হয়ে আছে। যদি তদন্ত না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন দিতে বাধ্য হব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন